আকাশে দুর্লভ ‘ব্লু মুন’

এই শুক্রবার পৃথিবী দেখতে যাচ্ছে আরেকটি দুর্লভ পূর্ণিমা যাকে বলা হয় ‘ব্লু মুন’। ২০১২ সালের পর আমরা আর কোন ব্লু মুন দেখিনি এবং এর পর ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত কোন ব্লু মুন আমরা দেখতে পাবো না।

সাধারণত প্রতি বছর ১২টি করে পূর্ণিমা হয়ে থাকে। কিন্তু কোন কোন বছর পূর্ণিমা হয়ে থাকে ১৩টি। অর্থাৎ যেকোনো এক মাসে ২টি পূর্ণিমা হয়। এই একটি ‘অতিরিক্ত’ পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘ব্লু মুন’।

তবে নাম ব্লু মুন হলেও প্রকৃতপক্ষে চাঁদের রং বা পূর্ণিমার আলোর কিন্তু কোন পরিবর্তন হয় না। অনেকেরই ধারণা ব্লু মুনের রাতে চাঁদ নীল আলো দেয়। কিন্তু আলো বা রঙের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।

একটি পূর্ণ চাঁদ থেকে আরেকটি পূর্ণ চাঁদের মধ্যবর্তী সময় হচ্ছে ২৯.৫৩০৫৩৯ দিন। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাস ব্যতীত অন্য যে কোন মাসের চেয়ে এটি এক দিন বা দেড় দিন কম। এই এক দিন বা দেড় দিনের ঘাটতি পূরণ করতেই তিন বছর পর পর ব্লু মুন হয়ে থাকে।

যেমনঃ ২০১৫ সালের পূর্ণিমার দিনগুলো যথাক্রমে জানুয়ারি ৫, ফেব্রুয়ারি ৩, মার্চ ৫, এপ্রিল ৪, মে ৪, জুন ২, জুলাই ২, জুলাই ৩১, আগস্ট ২৯, সেপ্টেম্বর ২৮, অক্টোবর ২৭, নভেম্বর ২৫ এবং ডিসেম্বর ২৫। অর্থাৎ জুলাই মাসে ২টি পূর্ণিমা হচ্ছে। কিন্তু ২০১৬ সালের জানুয়ারির ২৩ তারিখ প্রথম পূর্ণিমা এবং প্রতিমাসে একটি করেই পূর্ণিমা হবে।

১৯৪৬ সালে ‘স্কাই এন্ড টেলিস্কোপ’ পত্রিকার একটি আর্টিকেলে এই একমাসে ২টি পূর্ণিমা হবার ঘটনা প্রকাশিত হয় এবং সেখানে এই পূর্ণিমার নাম দেয়া হয় ব্লু মুন। সাধারণত প্রতি ২.৭ বছর পর পর ব্লু মুন হয়ে থাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন