নিউজিল্যান্ডের নতুন পতাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত

গত বছর ওশেনিয়া মহাদেশের অন্যতম একটি রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের পতাকা পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করে দেশটির সরকার। আর এ উদ্দেশ্যে সেদেশের সরকার আয়োজন করে গণভোটের।

 

পতাকা পরিবর্তনের জন্য এ গণভোট দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর জনগণকে ৫টি বিকল্প পতাকার নকশা দেয়া হয় এবং বলা হয় এর মধ্য থেকে একটি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে। এতে সাদা ফার্ন পাতাওয়ালা পতাকাটি সবচেয়ে বেশি ভোট পায় । মূলত ইউনিয়ন জ্যাক অপসারণ করে সেখানে নতুন ফার্ন পাতা বসানো হয়।

তবে এ বছর মার্চ মাসে ২য় গণভোট হয় যে এই নতুন পতাকা নির্বাচিত হবে কি নাকি আগের পতাকাই বহাল থাকবে। আর এ ভোটে পূর্বের পতাকা বহাল রাখার পক্ষেই অধিকাংশ মানুষ ভোট প্রদান করে।

নিউজিল্যান্ডের পতাকায় মূলত ব্রিটেনের পতাকার প্রভাব রয়েছে। একারণে অনেকেই এর বিরোধিতা করে পতাকাটি পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। আবার অস্ট্রেলিয়ার পতাকার সাথে নিউজিল্যান্ডের পতাকার সাদৃশ্য খুবই বেশি যার কারণে অন্যান্য দেশের মানুষ এই দুটো দেশের পতাকা গুলিয়ে ফেলেন।

কিন্তু যারা নতুন পতাকার বিপক্ষে তারা বলছেন, পুরানো পতাকা স্থানান্তর করে নতুন পতাকা স্থাপন করতে একটি বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করতে হবে। আবার অনেক মানুষ নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস এবং এই পতাকার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন।

নিউজিল্যান্ডের বর্তমান পতাকাটি ১৯০২ সালে গৃহীত হয়। পতাকার বামপাশে উপরে ইউনিয়ন জ্যাক রয়েছে। ইউনিয়ন জ্যাক হচ্ছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় পতাকা। ১৮৪০ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ব্রিটিশ কলোনির অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু স্বাধীন হবার পরও নিউজিল্যান্ড ব্রিটেনের রাণীর প্রতি অনুগত রয়েছে। এখনো নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন ব্রিটেনের বর্তমান রাণী ২য় এলিজাবেথ। আর সরকার প্রধান হচ্ছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জন কি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন