পড়ার টেবিলে মনোযোগী হতে হলে

চলমান টানা হরতাল-অবরোধের কারণে অনেক স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। ক্লাস করতে না পেরে শিক্ষার্থীরা অনেকেই নিয়মিত পড়াশােনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। তার ওপর কদিন পরই শুরু হবে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার হ্যাপা।

বিশেষ পরিস্থিতিতে স্কুলে ক্লাস না করেও বাড়িতে বসেই কীভাবে তুমি পড়াশোনায় ভালো করতে পারো তারই কিছু টিপস দিয়েছেন ঢাকার অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইন্সটিটিউটের চীফ কো-অর্ডিনেটর মো. রুহুল আমিন

০ বাসায় বসে যাই পড়ো না কেনো তা অবশ্যই বুঝে পড়তে চেষ্টা করো। কোনো কিছু বুঝে পড়লে সেটা দীর্ঘদিন মনে থাকে।

০ কঠিন কোনো কিছু পড়ার সময় সে সর্ম্পকিত ছবি এঁকে পড়তে পারো। এই পদ্ধতিতে পড়া মনে রাখতে বেশ সাহায্য করে।

০ বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো ঘটনা উদাহরণ হিসেবে সামনে রেখে পড়ো। তাহলে পড়া মনে থাকবে।

০ অনেকেই মনে করে একটানা পড়া ভালো। এতে করে পড়ায় মনোযোগ নষ্ট হয়না। কিন্তু ঘটনা আসলে উল্টো। একটানা না পড়ে বরং মাঝে কিছু সময়ের বিরতি দিয়ে পড়লে পড়া মনে থাকে বেশি। এক বা দুই ঘন্টা পড়ার পর তাই দশ মিনিটের একটি বিরতি নিতে পারো।

০ শুধু পড়লেই কিন্তু হবে না। বরং পড়ার মাঝে প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘন্টা লিখতে হবে। এতে করে পড়ার মধ্যেও বৈচিত্র্যের আনন্দ পাবে। কোনো একটি পড়া শিখে একবার লিখলে সে পড়া মনেও থাকে বহুদিন।

০ মনে রাখবে, কোনো পরীক্ষাই জীবনের শেষ কথা নয়। তাই কোনো একটি পরীক্ষা খারাপ হলে মন খারাপ না করে পরের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দাও।

০ নিয়মানুবর্তিতা জীবনে বড় হওয়ার একটি অন্যতম শর্ত। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতার চর্চা করতে হবে। তুমি তোমার সারাদিনের জন্য একটি রুটিন বানিয়ে নাও। তারপর সে রুটিন অনুযায়ী চলার চেষ্টা করো। প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হলেও দেখবে পরে তা তোমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

০ পড়ার চাপের কারণে আবার খেলাধুলার কথা ভুলে বসো না। তার কারণ নিয়মিত খেলাধুলা এবং শরীরচর্চা করলে মনোযোগ বাড়ে। গবেষণায় কিন্তু এমনটাই জানা গেছে। তাই প্রতিদিন দিনের কিছু সময় খেলাধুলা এবং শরীর চর্চা করো।

০ অনেক সময় খাবার খেতে মন না চাইলে অনেকে না খেয়েই পড়তে বসে। এটা কোনোক্রমেই উচিত নয়। পড়ার আগে কিছু না কিছু খেয়ে নেয়া ভালো।

০ অনেকে সারা মাস না পড়ে পরীক্ষার আগে রাত জেগে পড়াশোনা শুরু করে। এটাও কিন্তু উচিত নয়। এতে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

০ কোনো কিছু একবার না পারলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এর জন্য বারবার চর্চা করতে হবে। মনে রাখবে চর্চার কোনো বিকল্প নেই। বারবার চর্চার ফলে কঠিন পড়াও আয়ত্তে চলে আসে।

০ সব শেষে একটি গরুত্বপূর্ণ কথা। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সবার হাতে এখন স্মার্টফোন, ট্যব। এতে করে অনেকেই অহেতুক এসব ইলেকট্রনিক্স গেজেটের পেছনে প্রচুর সময় ব্যয় করে। এটা কিন্তু কোনোক্রমেই উচিত নয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, অনলাইনে মাত্রাতিরিক্ত বেশি সময় কাটালে মস্তিকে প্রচন্ড চাপ পড়ে। ফলে স্মরণশক্তি কমে যায়। এর কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতাও হ্রাস পায়। তাই প্রয়োজনের বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট ব্রাউজ না করাই ভালো ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন