রেসিং খেলার নেপথ্যের কারিগরঃ মোটরস্পোর্ট মার্শাল

ফর্মুলা ওয়ান বা এফ-১ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ গাড়ি প্রতিযোগিতা। অনেকগুলো গ্র্যান্ড প্রিক্স প্রতিযোগিতার সমন্বয়ে এটি পূর্ণ হয়। প্রতিটি গ্র্যান্ড প্রিক্স ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হয়ে থাকে। ফর্মুলা ওয়ান রেসিং কিংবা মোটো জিপি চ্যাম্পিয়নশিপের ট্র্যাকের পাশে কিছুদুর পর পর কয়েকজন লোক দেখা যায়। বেশিরভাগ সময় কমলা রঙের পোষাক পরিহিত অবস্থায় তারা থাকে। আপাতদৃষ্টিতে তাদের স্বেছাসেবী মনে হলেও তারা মূলত এই রেসিং খেলার নেপথ্যের কারিগর। মোটরস্পোর্ট মার্শাল নামে পরিচিত এই ব্যক্তিরা অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং সামর্থ্যের বিচারে অনেক বেশি অগ্রসর।

 যে কোনো রেসিং ইভেন্টে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। যেমনঃ প্রায় সময়েই কোনো গাড়ি বা কোনো মোটর বাইক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন ধরে যেতে দেখি আমরা কিংবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি রেসের ট্রাকের বাইরে চলে যেতে দেখি। অনাকাঙ্ক্ষিত এই দুর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথে দেখা যায় কয়েকজন রঙ্গিন পোষাক পরিহিত লোক ছুটে আসে গাড়ির কাছে এবং এসে শুরু করে দেয় বিভিন্ন কৌশলে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রন করা বা চালকের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা ইত্যাদি। এছাড়া, রেসের সময় গাড়ির টায়ার পরিবর্তন বা বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধানের দায়িত্বেও থাকেন এই মোটরস্পোর্ট মার্শালরা।

বর্তমানে এসব মোটরস্পোর্ট মার্শালদেরকে আলাদা করে নিয়োগ দেয় বিভিন্ন বিখ্যাত মোটরযান কোম্পানীরা। নিজ নিজ কোম্পানীর গাড়ি এবং সেটির চালকের দেখভাল করার দায়িত্ব থাকে এসব মার্শালদের উপর।

মোটরস্পোর্ট মার্শালরা মূল প্রতিযোগীতার আগে গাড়ির সবকিছু পর্যবেক্ষন করে থাকে ও কোন যান দিয়ে প্রতিযোগীতায় নামা ভালো হয় সেটার বিচার করেও থাকে।

মার্শালদের প্রধানকে বলা হয় কর্নার ক্যাপ্টেন। তিনি ছাড়াও Communicator, Yellow Flagger, Blue Flagger, First Responder, Secondary Responder এর মত কিছু ভাগে সব মার্শালদের ভাগ করে দেয়া হয় যেনো সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়।

বিখ্যাত কিছু মার্শাল সংস্থা হচ্ছেঃ

Motor Sports Association (UK), British Automobile Racing Club (UK), Sports Car Club of America (USA) ইত্যাদি।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন