সাঁতার কেটে প্রতিদিন অফিসে যান ডাভিড

সাঁতার কাটতে অনেকেই ভালোবাসেন। আবার কেউবা সাঁতার কেটে জীবিকা অর্জন করেন। তবে সাঁতার কেটে অফিসে যাওয়ার কথা শুনলে অবাক লাগতে পারে। হ্যাঁ, জার্মানীর মিউনিখ শহরের বেনিয়ামিন ডাভিড সেই কাজটিই করেন।

প্রতিদিন নদীতে দুই কিলোমিটার সাঁতার কেটে অফিসে যাতায়াত করেন তিনি। যানজট কিংবা গরমে বাসে ঠাসাঠাসি করে সঠিক সময়ে অফিসের পৌছানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে এই কাজটি করেন তিনি। স্থানীয় ইসার নদীতে সাঁতার কেটে খুব সহজে ও ঠিক সময়ে তিনি অফিসে পৌঁছে যান।

তিনি বলেন, নদীর পাশ দিয়ে চলে যাওয়া সড়কটিতে প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি থাকে। তাই ঠিক সময়ে অফিস পৌছাতে পারতেন না। এ কারণে প্রতিদিন সকালে তিনি তার ল্যাপটপ, জামা কাপড় আর জুতা একটি পানিরোধী ব্যাগের ভেতরে ভরে নেমে যান নদীতে। ব্যাগটি ফুলে থাকায় সেটার উপর ভর করে ভাসতে পারেন। আনন্দের সাথে ভাসতে ভাসতে অফিসের পাশে গিয়ে নদী থেকে উপরে উঠেন।

গ্রীষ্মকালের সময় প্রতিদিনই সাঁতার কেটে অফিসে যান ও বাড়িতে ফেরেন। শীতের সময়েও সাঁতরে অফিসে যান। তবে পানি অনেক বেশি ঠান্ডা হলে কখনও কখনও এড়িয়ে চলেন। তার জন্য আগে ভাগেই ইন্টারনেটে আবহাওয়া বা তাপমাত্রা দেখে নেন। গ্রীষ্মকালে ইসার নদীর পানির তাপমাত্রা থাকে ১৪ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সাঁতরে অফিসে যাওয়ার সময় তিনি রাবারের স্যান্ডেল পরেন। এতে নদীতে পড়ে থাকা বিভিন্ন জিনিষ থেকে তিনি রক্ষা পান। সাঁতার কেটে অফিসে যেতে দেখে অনেকই হাসাহাসি করে। তবে তিনি কিছু মনে করেন না। আবার তাকে দেখে আগ্রহী হয়ে অনেকেই এই অভিজ্ঞতা নিয়েও থাকেন।

তিনি জানান, রোম ও ভিয়েনাতে যাওয়ার জন্য এই ইসার নদীর একসময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ ছিলো। লোকজন নৌকায় করে চলাচল করতো। এখন সব হারিয়ে গেছে। জলপথ ব্যবহারের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে তার মাথায় এই বুদ্ধি আসে। তিনি মনে করেন আগামী কয়েক বছরে তার মতো হয়তোবা আরও অনেকেই সাঁতার কেটে অফিসে যাবেন।

বিবিসি অবলম্বনে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন