১১তম জাতীয় বিজ্ঞান উৎসবের সমাপ্তি

নানা আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত ১১তম জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব। বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা স্লোগানকে সামনে রেখে গত ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

ডিআরএমসি সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত এই উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ডিআরএমসি অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞানী আলী আসগর, বিজ্ঞান চিন্তার সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, ভুমিজো গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা রশিদ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, শহীদুল্লাহ হাউজে শুরু হওয়া বিজ্ঞান উৎসব মাত্র দশ বছরে বিশালাকার ধারণ করেছে।

বিজ্ঞানী আলী আসগর বলেন, প্রকৃতি আর বিজ্ঞান পৃথক কিছু নয়। প্রকৃতি থেকেই বিজ্ঞান শেখা যায়।

বিজ্ঞান চিন্তার সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম বিজ্ঞান শেখার ও জানার জন্য সবাইকে আরও বেশি বেশি প্রশ্ন করতে বলেন।

এবারের আয়োজনে ১৪ ধরণের অলিম্পিয়াডসহ ছিলো প্রকল্প প্রদর্শনী, দেয়ালপত্রিকা, কুইজ, ফটোগ্রাফিসহ নানা আয়োজন। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় রোবটিক্স প্রতিযোগিতা (এএফআর)। যেখানে চ্যাম্পিয়ান হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রার্নাস আপ হয় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

আকর্ষণীয় আয়োজনের মধ্যে ছিলো গেইমিং প্রতিযোগিতা। মার্ভেস বনাম ডিসি কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রায় ১২০টি দল অংশ নেয়। এতে বিজয়ী হয় নিলাদ্রী রাইয়ানের দল।

প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এবং দাবার পাশাপাশি ছিলো রুবিক্স কিউব। যেখানে স্কুল ও কলেজের মোট ১১০ জন প্রতিযোগি অংশ নেয়। এবারের অলিম্পিয়াডে দেয়াল পত্রিকা ছিলো প্রায় ২০০ এবং স্ক্র্যাপবুক ছিলো প্রায় ১০০টি।

প্রকল্প প্রর্দশনীতে প্রায় ৩০০ প্রকল্প অংশ নেয়, যেখানে বিচারক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের শিক্ষকরা।

DRMC Science Curnival 2018

মেগা কুইজের আয়োজনে কুইজমাস্টার ছিলো সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনিক আর হক। যেখানে অংশগ্রহণ করেছিলো ২৫টির মতো দল। এর মধ্যে বিইউপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ ছিলো।

৯ ফেব্রুয়ারী মেলা পরিদর্শনে আসেন লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক। সেখানে তিনি কিশোর-আলোর টিমকে নিয়ে সকলের সাথে কথা বলেন এবং প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

তিনদিনের আয়োজনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি উৎসব এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

জাতীয় পর্যায়ের এই আয়োজনে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। এবারের উৎসবে সর্বমোট ৪০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো অর্ধশতাধিক।

এ বছরের উৎসবকে আরও বড় এবং সফল করার জন্য পরিকল্পনা ও চেষ্টা চালিয়েছিলো বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। আয়োজনে ৬৮ সেচ্ছাসেবকসহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিশেষ ভূমিকা রাখেন। নেতৃত্ব দেন ডিআরএমসি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি শাহরিয়ার আলম শাওন।

এই আয়োজনের অনলাইন পার্টনার হিসেবে ছিলো চ্যাম্পস টোয়েন্টিওয়ান ডটকম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন