ওয়েবের জন্মস্থান

দেখতে অন্যান্য করিডোরের মতো, কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখবেন সেখানে একটি ফলক লাগানো আছে দেয়ালে। এটিই সেই ঐতিহাসিক জায়গা যেখানে ওয়েবের জন্ম হয়েছিলো।

১৯৮৯ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লি ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ আবিস্কার করেন। তখন ওয়েব বলতে একটি কমিউনিকেশন টুলস/সফটওয়্যার বোঝানো হতো, যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বিশ্বের অন্যান্য ইনস্টিটিউটগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন।

বার্নার্স লি ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) নামক পৃথিবীর অন্যতম সেরা গবেষণাগারে কাজ করতেন। সেখানেই তিনি বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি করেন। যদিও সেটি দেখতে সাধারণ ছিলো, তবে তার ক্রমবিকাশই আজকের ইন্টারনেট জগৎ।

web was born
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম ওয়েবসাইটটি মূলত এর নিজের সম্পর্কেই ছিলো। তথ্যের সাথে হাইপারলিংক যুক্ত ছিলো। সেখানে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব প্রকল্পের বিবরণ, পাশাপাশি ওয়েবের কোর ফিচার যেমন কীভাবে সার্ভার সেটআপ করতে হয় এবং ডকুমেন্ট অ্যাক্সেস করতে হয় ইত্যাদি ছিলো। এক পেইজের এই ওয়েবসাইটটি বার্নার্স লি’র নেক্সট কম্পিউটার হোস্ট করা হয়, যা এখনও সার্নে রয়েছে। ১৯৯৩ সালে সার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সফটওয়্যারটি পাবলিক ডোমেইনে দিয়ে দেয়।

web was born
ছবি : সংগৃহীত

আশ্চর্যজনকভাবে, বার্নার্স লি তার উদ্ভাবনের জন্য কিছু অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতারও সম্মুখীন হয়েছেন। সার্ন মনে করতো এটি রিসোর্সের অপচয় এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্যের অংশ ছিলো না। এখন, অন্তত প্রতিষ্ঠানটি করিডোরে ওয়েবের জন্ম সম্পর্কে একটি ফলক লাগিয়ে রেখেছে!

web was born
ছবি : সংগৃহীত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন