বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিচিতি : ভলগোগ্রাদ অ্যারেনা

চলে এসেছে বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮। ৩২টি দেশের মধ্যে মোট ৬৪টি ম্যাচ হবে বিশ্বকাপ। এজন্য প্রস্তুত ১২টি স্টেডিয়াম। যার মধ্যে ৩টি পুরনো স্টেডিয়ামের আমূল সংস্কার করা হয়েছে। আর বাকি ৯টি স্টেডিয়াম একেবারে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। চলুন আজ জেনে নিই ভলগোগ্রাদ অ্যারেনা স্টেডিয়াম সম্পর্কে।

রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু ভলগোগ্রাদ অ্যারেনা। বিশ্বকাপের জন্য যে কয়েকটি স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে তার মধ্যে এটি উল্লেখযোগ্য। ২০১৪ সালে রতোর পুরোনো এবং পরিত্যক্ত সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামের স্থানেই এই স্টেডিয়ামটি গড়ে তোলা হয়েছে। বিশ্বকাপের পরে এফসি রতোর ভলগোগ্রাদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে এই স্টেডিয়াম। অপেক্ষাকৃত বড়, একেবারে নতুন চেহারার এই স্টেডিয়ামের নয়নাভিরাম জাফরি ডিজাইন সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করলেও এখানে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের কোন ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ‘ব্যাটল অব স্তালিনগ্রাদের’ জন্য বিখ্যাত স্তালিনগ্রাদের বর্তমান নাম ভলগোগ্রাদ। বিশ্বকাপের জন্য নবনির্মিত স্টেডিয়ামটির আসন সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্বের ৪টি ম্যাচ। খেলবে ইংল্যান্ডের মত ফেবারিট দল।

বিশ্ব-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এক স্থান স্তালিনগ্রাদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ৬ মাস ব্যাপী যুদ্ধের পরই পতন হয় জার্মানির। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষ হয়েছিল স্তালিনগ্রাদে। যেই যুদ্ধটি পরিচিত ব্যাটল অব স্তালিনগ্রাদ।

সেই শহরের নাম এখন পরিচিত ভলগোগ্রাদ। ভলগা নদীর তীর ঘেঁষা এই শহরটি রাশিয়ার শিল্প ক্ষেত্রে রেখে আসছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ২০১৮ বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু শহরের স্টেডিয়াম ভলগোগ্রাদ অ্যারেনা।

Volgograd Arena stadium
ছবি: সংগৃহীত

ভলগা নদীর তীর ঘেঁষেই নির্মাণ করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম। ১৯৫৮ সালে এই স্থানেই তৈরি করা হয়েছিল সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম। যা ভেঙ্গে রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য নতুন রূপে নির্মিত হচ্ছে ভলগোগ্রাদ অ্যারেনা। স্টেডিয়ামটির মুল আকর্ষণ ঝুলন্ত গ্যালারি।

ফিফা বিশ্বকাপের ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ভলগোগ্রাদ অ্যারেনায়। সবগুলোই গ্রুপ পর্বের খেলা। ১৮ জুন এই ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে তিউনিসিয়া ও ইংল্যান্ড। ২২ জুন নাইজেরিয়ার প্রতিপক্ষ চমক দেখানো আইসল্যান্ড। এর ২ দিন পরেই লড়বে সৌদি আরব ও মিশর। আর ভলগোগ্রাদ অ্যারেনায় বিশ্বকাপ উৎসব শেষ হবে ২৮ জুন জাপান-পোল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে।

২০১৫ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয় স্টেডিয়ামটির। শুরুতে এর সাথে একটি সুইমিং পুলসহ স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের কথা থাকলেও, সময় স্বল্পতা ও অর্থ সংকটের কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। অবশ্য তারপরও স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য কমেনি এতটুকু। বরং নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকায় ভলগোগ্রাদ দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় এক ভেন্যুর নাম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন