কাঠুরে পাখি

এই বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে কত যে আজব পাখি পাওয়া যায় তা না বললেও চলে ! এমনই এক পাখির নাম কাঠঠোকরা যাকে ইংরেজীতে বলা হয় Woodpecker। গাছের গায়ে ঠুকরে ঠুকরে গর্ত করে বলে এদের কাঠঠোকরা বলা হয়।   

কাঠঠোকরারা যখন তাদের ধারালো ঠোঁট দিয়ে ঠুকরে ঠুকরে গাছের গায়ে গর্ত করে চলে তখন মনে হয় গাছের বুঝি বারোটা বাজাচ্ছে পাখিটা। আসলেই কি তাই ? মূলত কাঠঠোকরা গাছের বাকলে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকারক পোকাদের খুঁজে বের করে খেয়ে ফেলে। গাছের বাকলে ক্ষতিকারক পোকাগুলো যতই লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে কাঠঠোকরা পোকাগুলোর অবস্থান খুঁজে বের করে। পোকাগুলি গাছের জন্য খুব ক্ষতিকারক কেননা পোকাগুলি গাছের বাকলকে নষ্ট করে ফেলে। গাছের ভিতরে লুকিয়ে থাকা পোকামাকড় কাঠঠোকরার প্রিয় খাবার।

কাঠঠোকরার সুচালো ঠোঁট গাছের গায়ে ছিদ্র করার উপযোগী। এর সাহায্যে পাখি গাছের গায়ে সহজেই গর্ত করতে পারে। ঠোকরাতে ঠোকরাতে পাখি যখন পোকামাকড়ের সন্ধান পেয়ে যায় তখন কাঠঠোকরা তাদের লম্বা জিহ্বা দিয়ে পোকামাকড়কে বের করে আনে ও খেয়ে ফেলে। বেশীরভাগ কাঠঠোকরাই গাছের কাণ্ডের গায়ে গর্ত করে তাদের বাসা বাঁধে।

কাঠঠোকরা পাখির পায়ের আঙুলও এমন বিশেষ ধরণের যে কাঠ ঠোকরাতে গিয়ে তাদের পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। ভালোমতোই গাছের ডালে আটকে থাকতে পারে তারা।

মাঝে মাঝে গাছের কাণ্ডে দুই দিকে খোলা গর্ত দেখতে পাওয়া যায়। কাঠঠোকরা পাখি এমন দু-মুখ খোলা বাসা তৈরি করে রাখে যেন শত্রু আক্রমন করলে সহজেই পালিয়ে যেতে পারে। আত্মরক্ষার জন্যে কাঠঠোকরা পাখির এই বুদ্ধিটা সত্যিই অসাধারণ।    


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন