একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে এখনকার বাচ্চারা বড় হচ্ছে আধুনিক হয়েই। আগে যেখানে একটি পরিবারে বড়জোর একটি কম্পিউটারই ছিল সেখানে এখন বাচ্চার ব্যবহারের জন্য বাবা-মা ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ব্যবস্থা করে থাকেন। আর সেটা থাকে তাদের শোবার ঘরেই। সেই সাথে মোবাইল, ট্যাব ইত্যাদি ডিভাইস তো আছেই।
এসব কারণে সন্তানদের উপরে নজরদারি করা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে বাবা-মায়েদের জন্য। নিজের ব্যক্তিগত ডিভাইসে সন্তান কি করছে, কি দেখছে তা সবসময় খেয়াল রাখতে পারেন না তারা। ফলে বাচ্চারা পরিচিত হচ্ছে ইন্টারনেটে অনাকাঙ্খিত জগতের সাথে।
এসব থেকে নিজেদের সন্তানকে রক্ষা করতে বাবা-মায়েদের প্রয়োজন যথাযথ পরামর্শ এবং সেগুলোর যথোপযুক্ত প্রয়োগ। ইন্টারনেটের অপব্যবহার থেকে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের রক্ষা করতে বয়সভিত্তিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ সিরিজ আকারে প্রকাশের উদ্যােগ নিয়েছে চ্যাম্পস টোয়েন্টিওয়ান ডটকম। গত পর্বে প্রকাশ করা হয়েছিলো ৫ বছরের কমবয়সী বাচ্চাদের জন্য পরামর্শ। আজ প্রকাশ করা হলো ১৩ বা তার বেশি বয়েসী শিশুদের ক্ষেত্রে করণীয়
১৩ বা তার বেশি বয়েসী বাচ্চাদের জন্য পরামর্শ
– এই বয়সে শিশুরা মনে করে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গিয়েছে, তাদের আর দিক নির্দেশনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাদেরকে যথাযথ সীমাবদ্ধতার ভিতরে রাখুন।
– এ বয়সের বাচ্চারা সাধারণত বাবা-মায়েদের চেয়ে প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়ে থাকে। তারপরও তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
– বয়ঃসন্ধিকালের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সম্পর্কে তাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন। ইন্টারনেট থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা যেন ভুল পথে পা না বাড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
– ইন্টারনেট এবং ওয়েবক্যামের অপব্যবহার থেকে তাকে দূরে রাখুন।
– ইন্টারনেটে কপিরাইট এবং বৈধতা বিষয়ে তাকে সচেতন করে তুলুন।
– এই বয়সের বাচ্চাদের কিছু প্রশ্ন করতে পারেনঃ
· তোমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে তুমি চেনো?
· ফেসবুকের ব্যবহার এবং প্রাইভেসি সেটিংস সম্পর্কে তোমার জানা আছে?
· অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে তুমি কোন মেসেজ পাও? পেলে সেগুলো কীভাবে সামলাও?
· ইন্টারনেটে কারও সাথে পরিচয় হবার পর দেখা করেছো?
· তুমি বা তোমার পরিচিত কেউ ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি পাঠিয়েছে বা কারো কাছ থেকে পেয়েছে?