ক্রিকেট খেলায় ধারাভাষ্যকারের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, ‘বল মিড-অন অঞ্চল দিয়ে সোজা চলে গেলো সীমানার বাইরে’ অথবা ‘গালিতে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার ক্যাচটি দারুণভাবে লুফে নিলেন’।
এসব ধারাভাষ্য থেকে সহজেই বুঝা যায় যে ক্রিকেটের মাঠ আসলে ছোট ছোট বেশ কিছু অঞ্চলে ভাগ করা। এ অঞ্চলগুলোর উপর নির্ভর করেই সাধারণত ফিল্ডিং সাজানো হয়ে থাকে।
ব্যাটসম্যানরাও অঞ্চল বুঝে তাদের শট খেলে থাকেন। চলুন জেনে নেয়া যাক, ক্রিকেট মাঠের এসব অঞ্চলগুলো সম্পর্কে। ব্যাটসম্যান যেদিকে পা দিয়ে দাঁড়ায় সেদিককে বলে অন সাইড আর ব্যাটসম্যানের ব্যাট যেদিকে থাকে সে দিকটাকে বলা হয় ব্যাটসম্যানের অফ সাইড।
ব্যাটসম্যানের পিছনে দাঁড়ায় উইকেটকিপার। উইকেটকিপারের খুব কাছেই ডানপাশ অথবা বামপাশে যেখানে এক বা একাধিক ফিল্ডার সারি দিয়ে দাঁড়ায় (অথবা কেউ নাও থাকতে পারে) সেটিকে বলা হয়ে থাকে স্লিপ অঞ্চল।
স্লিপের একটু দূরে কোনাকুনি পিছনের দিকের অঞ্চলকে বলে গালি অঞ্চল। তার আরেকটু দূরে তবে ৩০-ইয়ার্ড সার্কেলের ভিতরের ব্যাটসম্যানের ব্যাটের আড়াআড়ি অঞ্চলটার নাম পয়েন্ট।
আবার ব্যাটসম্যানের কাছাকাছি জায়গায় এই পয়েন্টকে বলে সিলি পয়েন্ট। পয়েন্ট অঞ্চল ঘেঁষে ব্যাটসম্যানের অফ সাইডের জায়গাকে বলে কাভার অঞ্চল আর তার পাশেই এক্সট্রা কাভার অঞ্চল।
বোলার যেখান থেকে বোলিং করে তার একপাশকে (ব্যাটসম্যানের অন সাইড) বলে মিড-অন আর তার অপর পাশকে (ব্যাটসম্যানের অফ সাইড) বলে মিড-অফ অঞ্চল। এ অঞ্চল দুটো ৩০-ইয়ার্ড সার্কেলের ভিতরে অবস্থিত।
এই দুটি অঞ্চল সামনের দিকে প্রসারিত করলে সেগুলোর নাম হয় লং-অন এবং লং-অফ অঞ্চল। আর এ দুই অঞ্চলের মাঝখান দিয়ে উইকেটের সোজাসুজি অঞ্চলটাকে বলা হয় স্ট্রেইট।
কাভার অঞ্চলের ঠিক উল্টাপাশে অর্থাৎ ব্যাটসম্যানের অন-সাইডের অঞ্চলকে বলে মিড-উইকেট। তার পাশের অঞ্চলটুকুকে বলে স্কয়ার লেগ (পয়েন্টের ঠিক উল্টাপাশে এবং সমান আকৃতির অঞ্চল)।
ব্যাটসম্যানের পিছনের দুইপাশ দুইটি অঞ্চলে বিভক্ত। অন-সাইডের দিককে বলে ফাইন লেগ এবং অফ-সাইডের দিকটাকে বলে থার্ড-ম্যান অঞ্চল।
ব্যাটিং ক্রিজের কাছাকাছি দুইপাশের অঞ্চলকে বলা হয় শর্ট অঞ্চল। অফ সাইডকে শর্ট অফ এবং লেগ সাইডকে শর্ট লেগ বলে।