হলিউডের সাড়া জাগানো সিনেমা ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’ এর বদৌলতে অনেকেরই হয়তো ‘ব্ল্যাকবেয়ার্ড’ নামটি পরিচিত। কুখ্যাত এই জলদস্যুর জাহাজের নাম ছিল কুইন অ্যান’স রিভেঞ্জ (Queen Anne's Revenge)। ১৭১৮ সালে আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার উপকূলে ডুবে যায় ব্ল্যাকবেয়ার্ডের এই জাহাজ।
প্রায় ২৭০ বছর ধরে পানি আর বালির নিচে ডুবে থাকার পর ১৯৯৬ সালে আবিষ্কৃত হয় জাহাজটি। বর্তমানে নর্থ ক্যারোলিনার কালচারাল রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট এই জাহাজের ধ্বংসস্তূপ নিয়ে গবেষণা করছে।
ব্ল্যাকবেয়ার্ডের ডুবে যাওয়া এই জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আশ্চর্যজনক কিছু যন্ত্রপাতি যেগুলো চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হত। এর মধ্যে রয়েছে একটি সিরিঞ্জ যেটা সিফিলিসের চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হতো, দুইটি পাম্প এবং একটি পরিঞ্জার যা রক্ত সঞ্চালনের জন্য ব্যবহার করা হতো।
এই উদ্ধারকাজের সঙ্গে জড়িত আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. লিন্ডা কারনেস বলেন, ‘সেসময় তারা অনেক ধরণের অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় খুঁজছিল।
যেহেতু জলদুস্যরা সমুদ্রে অনেক যুদ্ধের সাথে জড়িত ছিল তাই তারা অনেকে আহতও হতো। সুতরাং তাদের ক্ষতস্থান সারানোটাই সেসময় মুখ্য ছিল তাদের কাছে। তবে এসব চিকিৎসার জন্য তাদের সঙ্গে সম্ভবত কোন দক্ষ চিকিৎসক ছিল না’।
ব্ল্যাকবেয়ার্ডের জাহাজে এসব হাতে তৈরি চিকিৎসা যন্ত্রপাতির মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা সেই সময়ের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে নতুন অনেক কিছুই জানতে পারছেন।
এই জাহাজে শুধুমাত্র ক্ষতস্থান বা ছোটখাটো অসুখেরই চিকিৎসা করা হতো না, সেই সাথে দীর্ঘস্থায়ী এবং দুরারোগ্য অসুখেরও চিকিৎসা করা হতো বলে ধারণা করছেন তারা।