শুরু হয়ে গেছে ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেট, আর এই জমকালো খেলার আসর নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে উন্মাদনার শেষ নেই। যার যার প্রিয় দল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছেই। এর পাশাপাশি আমরা দিয়ে যাচ্ছি ক্রিকেট সম্পর্কীয় কিছু মজার সাধারণ তথ্য।
ক্রিকেট মাঠে একজন আম্পায়ারের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। সতর্ক থাকতে হয় অনেক বেশি। ১ সেকেন্ডের ভুলেও ১টি ভুল ডিসিশন হয়ে যেতে পারে।
এত বিষয় চিন্তা করে ক্রিকেটের নতুন সংযোজন, “আম্পায়ার রিভিউ সিস্টেম।”
এই প্রক্রিয়ায়,একজন আম্পায়ার তার ডিসিশন দেয়ার পর ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত খেলোয়াড়রা আপিল করার সময় পাবে। আম্পায়রের সিদ্ধান্তের পক্ষে বা বিপক্ষে শুধুমাত্র বোলিং দলের অধিনায়কেরা আপিল করতে পারে। এই বিশ্বকাপে প্রত্যেক ইনিংসে আম্পায়রের সিদ্ধান্তের পক্ষে বা বিপক্ষে একবার মাত্র আপিলের সুযোগ থাকছে ব্যাটিং বা বোলিং দলের। রিভিও অসফল হলে আর সুযোগ দেয়া হয় না। তবে আবেদন সফল হলে সুযোগ বহাল থাকবে।
২০০৮ সালে প্রথম এই প্রক্রিয়ার ব্যবহার দেখা যায় শ্রীলঙ্কা বনাম ভারতের টেস্ট ম্যাচে। আর ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের ওডিআই ম্যাচে এটি প্রথম ব্যবহার করা হয়।
ডিআরএস পদ্ধতিতে কয়েকটি স্টেপ অনুসরন করা হয়।
- সবগুলো ক্যামেরা থেকে স্লো-মোশন রিপ্লাই এবং রিয়েল টাইম ডিসপ্লে
- আল্ট্রা মোশন ক্যামেরার রিপ্লাই
- স্নিকো-মিটারের ব্যবহার
- বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তির ব্যবহার
- হটস্পটের ব্যবহার
এই বিশ্বকাপে ডিআরএস পদ্ধতিতে হটস্পট ব্যবহার হচ্ছে না।
আবার, আইন ৩৬.১(বি) ধারা অনুযায়ী, এল.বি.ডব্লিউ এর ক্ষেত্রে, যখন থার্ড আম্পায়ার পিচে বলের অবস্থান নির্দেশ করবে তখন অবশ্যয় বলটির সঠিক স্থান নির্দেশ করতে হবে। যদি বলটি লেগ স্ট্যাম্প লাইনের ৫০% এর বেশি বাহিরে থাকে তবে এল.বি.ডব্লিউ এর দাবি অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
প্রধানত, এলবিডব্লিউ এবং ক্যাচ আউটের ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।