আজব তবে গুজব নয়

বিশাল প্রাণীজগতের অনেক তথ্যই এখনো আমাদের অজানা। প্রতিনিয়তই বিজ্ঞানীরা প্রাণীজগতের নতুন নতুন তথ্য দিয়ে চমকে দিচ্ছেন আমাদের। এসব তথ্যের অধিকাংশই অবাক করার মতো। চলো আজ জেনে নেয়া যাক বিচিত্র প্রাণীজগতের অদ্ভুত কয়েকটি তথ্য-

১. চুল বড় হয়ে গেলে আমরা কেটে ফেলি, নখ বড় হয়ে গেলে নখও কেটে ছোট করে রাখি। কিন্তু প্রাণী জগেত এমন একজন আছে যার দাঁত আমাদের চুল বা নখের মতোই বৃদ্ধি পায়?

শুনতে অদ্ভুত শোনালেও, আমেরিকায় প্রাপ্ত বীভার (Beaver) নামক বিশেষ প্রজাতির ইঁদুরের সামনের সারির দাঁত সবসময়ই বাড়তে থাকে।

তাদের অবশ্য আমাদের চুল বা নখের মতো দাঁত কেটে ছোট করার দরকার পড়ে না কারন বিভাররা সবসময় দাঁত দিয়ে গাছের কাণ্ড বা বাকল কাটার ফলে প্রাকৃতিকভাবেই তাদের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দাঁত ছোট হয়ে যায়।

শক্ত শক্ত গাছের গুঁড়ি কাটার ফলে দাঁতের ক্ষয় হওয়ার বিপদ থেকে বাঁচতেই বীভার জাতীয় ইঁদুরদের দাঁতের এমন বৃদ্ধি ঘটে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।

২.সিংহের কেশরের গোড়ায় থাকা দাগ দেখে প্রত্যেকটি সিংহকে আলাদা করে চেনা সম্ভব। কারণ প্রত্যেকটি সিংহের ক্ষেত্রে এ দাগগুলো আলাদা হয়। অর্থ্যৎ একটি সিংহের কেশরের দাগের সঙ্গে অন্য সিংহের কোন মিলই নেই।

৩. সিংহের ভয়ানক গর্জনের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সেই গর্জনের শব্দ যে কতোটা জোরে হতে পারে আর তা কতো দূর পর্যন্ত যেতে পারে সে ব্যাপারে তোমাদের কারো কোন ধারণা আছে? শুনলে অবাক হবে, পূর্ণবয়স্ক একটি সিংহের গর্জন প্রায় আট কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা যায়।

৪. এতো ভয়ংকর সিংহের কথা জানলে, এতো জোরে যে আওয়াজ করতে পারে, সে কিন্তু বেশ অলস প্রকৃিতর। সিংহ দিনের বেশির ভাগ সময়ই বিশ্রাম নিয়ে বা ঘুমিয়ে কাটায়। একটি সিংহ দৈনিক প্রায় বিশ ঘন্টা বিশ্রাম নেয়।

৫. হাতে ছুঁয়ে বা মাথায় ঠেকিয়ে কোন খাবারের স্বাদ কি বোঝা সম্ভব? তোমার-আমার ক্ষেত্রে জিভ না লাগিয়ে কোন খাবারের স্বাদ বুঝতে পারাটা সম্ভব না হলেও ক্যাটফিশ বা মাগুর মাছদের পক্ষে কিন্তু সেটা খুব সম্ভব।

কারণ মাগুর মাছের প্রায় পুরো শরীর জুড়েই টেস্ট বাড থাকে, যা দিয়ে মূলত খাদ্যের স্বাদ বোঝা যায়। মানুষের টেস্ট বাড কেবল জিভেই থাকে বলে মানুষ কেবল জিভ দিয়েই খাবারের স্বাদ বুঝতে পারে।

৬. আমরা সবাই জানি যে জিরাফ মুখে কোন শব্দ করতে পারে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বাচ্চা জিরাফেরা অনেক সময়ই মুখ দিয়ে গরুর মতো আওয়াজ করে।

৭. হার্ট অ্যাটাকের ভয়াবহতার কথা আমরা অনেক শুনেছি। হার্টের অসুখ হলে যে বড় ডাক্তার দেখাতে হয়, হাসপাতালে যেতে হয় সেসবও নিশ্চয়ই জানি আমরা। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানো?

জেব্রাফিশ নামের এক ধরণের মাছ রয়েছে সমুদ্রে। যাদের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলা যেতে পারে। এদের হৃৎপিণ্ড কোন কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলে তারা নিজে নিজেই সেটা ঠিক করে ফেলতে পারে।

জেব্রাফিশকে তাই কোন ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয় না, যেতে হয় না হাসপাতালেও।

৮. ভ্যাম্পায়ার ব্যাট বা রক্তচোষা বাদুড়েরাই পৃথিবীর বুকে এখন অবধি খুঁজে পাওয়া একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যারা কেবল অন্য প্রাণীর রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে।

৯. এলিগেটর জাতীয় কুমিরদের দাঁতের ভেতরের অংশটি ফাঁপা থাকে।

১০. আমরা জানি স্বর্ণ পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ধাতুগুলোর একটি। মজার ব্যাপার হলো, প্রত্যেকটি মানুষের শরীরে কিছুটা স্বর্ণ এমনিই থাকে, যা মানবদেহেরই অংশ।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন