অামাদের দেশের মতো আমেরিকাতেও কাক দেখতে পাওয়া যায়। তবে এদের আলাদা পরিচয় রয়েছে। এরা হচ্ছে ‘আমেরিকান ক্রো’। কানাডার দক্ষিণাঞ্চল থেকে আমেরিকার প্রায় সর্বত্রই এদের দেখা মেলে। প্রাপ্তবয়স্ক এসব কাক ঠোঁট থেকে লেজ পর্যন্ত কালো হয়।
এদের চোখ বাদামী রঙের। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এদের কালো পালকের উজ্জ্বলতা বাড়তে থাকে। তবে আমাদের দেশে যেসব কাক দেখতে পাওয়া যায় সেগুলোর গলা, ঘাড় এবং বুকের দিকটা ধূসর রঙের হয়ে থাকে। তবে অনেকে র্যাভেন বা দাঁড়কাকের সাথে ‘আমেরিকান ক্রো’-কে গুলিয়ে ফেলেন।
দাঁড়কাকের পাখা এবং লেজ সূচালো হয়, আকারে এরা সাধারণ কাকের চেয়ে বড় হয়, এদের ঠোঁটের আকৃতিও হয় ভিন্ন। আর এরা সাধারণ কাকের চাইতেও কর্কশ স্বরে ডাকে।
আমেরিকান কাক পরিবার নিয়ে বসবাস করে। স্ত্রী-পুরুষ দুজনে মিলেমিশে নিজেদের ঘর তৈরি করে। বসন্তে অথবা গ্রীষ্মকালে মেয়ে কাক সাধারণত চার থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে।
জন্মের পাঁচ সপ্তাহ পরে বাচ্চা কাকেরা উড়তে এবং শিকার ধরতে শেখে। আমেরিকান কাকেরা সাধারণত এদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে যায় না।
শীতকালে এসব কাক বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে এক জায়গায় একত্রিত হয়। যেসব এলাকায় বড় বড় গাছ রয়েছে সেসব জায়গাতেই এদের একত্রিত হতে ও বাসা বানাতে দেখা যায়।
কাক মোটামুটি সব জিনিসই খায়। আমাদের দেশের কাক সাধারণত ময়লা-আবর্জনা খেয়েই বেঁচে থাকে। তবে আমেরিকার কাক কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে ছোটখাটো প্রাণী যেমনঃ ব্যাঙ ও বিভিন্ন ফলমূল খেয়ে থাকে।
এরা সাধারণত বড় বড় গাছ রয়েছে এমন খোলামেলা জায়গায় বসবাস করতে পছন্দ করে। মাঝেমধ্যে সবজি বাগানের আশেপাশেও এদের দেখতে পাওয়া যায়। লোকালয়ের আশেপাশে, বিভিন্ন পার্কেও সহজেই এদের দেখা মেলে। আমেরিকাতেও কাকদের খুবই বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়।