কদিন আগেই পৃথিবী প্রদক্ষিণে বেরিয়েছে পৃথিবীর প্রথম সৌরশক্তিচালিত বিমান সোলার ইমপালস ২। গত মঙ্গলবার বিমানটি এসে পৌঁছেছে চীনে। মায়ানমার থেকে চীন পৌঁছাতে এর সময় লেগেছে ২০ ঘণ্টারও বেশি।
সুইস পাইলট বারট্রান্ড পিকার্ড মঙ্গলবার সকালে এই বৈপ্লবিক প্রযুক্তির বিমান নিয়ে অবতরণ করেন চীনের চোংকিং বিমানবন্দরে। চীনে প্রবেশ করা এটাই প্রথম কোন সৌরশক্তিচালিত বিমান।
চীনে অবতরণের আগে ইয়ুনান এবং সিচুয়ান প্রদেশের সুউচ্চ সব পর্বত ডিঙ্গিয়ে আসতে হয়েছে সোলার ইমপালস ২-কে। এতো উঁচুতে ভ্রমণের সময় পিকার্ডকে অক্সিজেন মাস্ক পড়তে হয়েছিল। কোন কোন জায়গায় তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছিল। তবে চোংকিং-এ নামতেই মৃদুমন্দ বাতাস বরণ করে নেয় পিকার্ডকে।
ফ্লাইট পরিচালক রেমন্ড ক্লার্ক বলেন, মান্দালয় থেকে চোংকিং যাওয়ার রাস্তাটা এই যাত্রার সবচাইতে কঠিন ৫টি ধাপের একটি ছিল। মিশন ইঞ্জিনিয়ার মাইকেল এঙ্গার প্রোজেক্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানান, ‘আমরা খুবই ক্লান্ত কিন্তু চোংকিং-এ পৌঁছাতে পেরে আমরা খুবই খুশি’।
পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করতেই এই যাত্রায় নেমেছে সোলার ইমপালস ২। এই বিমানে রয়েছে ১৭ হাজার সোলার সেল।
সৌরশক্তিচালিত বিমানের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই ২টি রেকর্ড করে ফেলেছে সোলার ইমপালস ২। প্রথমটি হচ্ছে ওমানের মাসকাট থেকে ভারতের আহমেদাবাদ পর্যন্ত সবচাইতে লম্বা দূরত্ব ১ হাজার ৪৬৮ কিলোমিটার অতিক্রম করা।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে ভারতের বেনারস থেকে মান্দালয় যাবার পথে সর্বোচ্চ ১১৭ নট (২১৬ কিলমিতার/প্রতি ঘণ্টায়) গতি অর্জন করা।
সোলার ইমপালস ২ মার্চের ৯ তারিখ আবুধাবি থেকে যাত্রা শুরু করে। ৪টি ধাপ শেষ করে বিমানটি এখন চীনে। এখান থেকে বিমানটি উড়ে যাবে চীনের উত্তরের নানজিং শহরে, সেখান থেকে রওনা দেবে আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশ্যে।
১২টি ধাপ শেষ করে আগস্ট মাসের মধ্যে বিমানটির আবার আবুধাবিতে ফিরে আসার কোথা রয়েছে।