ছোটদেরগল্প-উপন্যাসে নানা রকম বদমাশ, মাস্তান, তান্ত্রিক বা ভূতের বিবরণ কম-বেশি আমরা সবাই পড়েছি। এর সব কটা উপাদানে ঠাসা ‘জিতু আর তান্ত্রিক ১ ও ২’ কমিকটি। হাস্যকর রোমাঞ্চ আর অ্যাকশনসহ প্রতিটা ডায়ালগ ছড়ায় ছড়ায় ছড়ানো-ছেটানো আছে প্রতিটা পাতায়।
ঘটনা সংক্ষেপ:
স্কুল পড়ুয়া জিতুর স্কুল ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে থাকে “টি” নামের একটা বাচ্চা ভূত। এইটা তার ব্যাগে কি করে এলো তা জিতু নিজেও জানে না। তবে টির সাথে জিতুর ভাব জমে যেতে বেশি সময় লাগেনি। জিতুর কাছ থেকে টি কে ছিনিয়ে নিতে চায় বিদঘুটে চরিত্রের ভিলেইন বস যে কি না অতি মাত্রায় লাজুক বলে লোকসম্মূখে আসেন না। ভুতকে কিডন্যাপের জন্য সে ভাড়া করেছিলো পেশাদার কবি বনস্পতি আর তার স্যাঙাৎ কঞ্চিকে। তারা ফেইল করায় বস এবার ভাড়া করেছে এক অদ্ভুত তান্ত্রিককে!
তান্ত্রিকদের তো থাকে বিভিন্ন রকমফের আর বাহারি নামের বাহার। কেউ ঝাঁকড়া চুলের তান্ত্রিক, ফ্যাকড়াগোছের তান্ত্রিক, ঝোলা তান্ত্রিক, ফোলা তান্ত্রিক, বুজরুক তান্ত্রিক বা কেউ উজবুক তান্ত্রিক! কিন্তু কোনো তান্ত্রিকের নাম ‘ঞঙচ (he who can’t be named)’ হয় বলে শুনেছেন? শুধু কি তাই? এ তান্ত্রিক আবার যে সে তান্ত্রিক নয়…একেবারে সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় তোলা তান্ত্রিক।
ভূতেদেরও নাম হয় এই ধরুন কেলে ভূত, জেলে ভূত, মেছো ভূত, গেছো ভূত বা ভেতো ভূত। কিন্তু কেউ কখনো জ্যামিতিক ভূতের কথা শুনেছেন? বুঝাই যাচ্ছে একদমই শোনেননি!
তো এরকম অদ্ভুত চরিত্ররা যখন একটা কে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তখন কাহিনী কতটুকু জমজমাট হতে পারে আশা করি পাঠকদের বুঝিয়ে বলতে হবে না। হাজ্জাজ বিন ইউসুফের গল্প অবলম্বনে সৃষ্ট এই গ্রাফিক্স নভেলটির ছবি এঁকেছেন আসিফুর রহমান রাতুল। কমিকটির মজাদার কাহিনীর বুনোট পড়ার আকর্ষণকে দ্বিগুন করে তুলবে। সবমিলিয়ে ভীষণ উপভোগ্য একটি কমিক্স সিরিজ যা ছোট–বড় সকলেই পড়ে বেশ আনন্দ পাবেন। এটি প্রকাশ করেছে ঢাকা কমিক্স, পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৮ ও মূল্য ৩৮ টাকা। পাওয়া যাবে ৪৭, ঢাকা কমিক্স স্টুডিও, দক্ষিণ বেগুনবাড়ি, হাতিরঝিল লিঙ্ক রোডে সকাল ১১টা খেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন বুকস্টোরেও পাওয়া যাচ্ছে।