আমরা জানি হাতি আর গণ্ডার প্রতিনিয়ত অবৈধ শিকারের সম্মুখীন হচ্ছে যার ফলে এদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মূলত এদের দেহের বিভিন্ন মূল্যবান অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কারণেই এদের হত্যা করা হয়। কিন্তু এখন জিরাফ, জেব্রা আর গরিলার মত প্রাণীগুলোকেও অবৈধভাবে শিকার করা হচ্ছে।
মাংস বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্যই মূলত এসব প্রাণী শিকার করা হয়। তবে এদের জীবিত পাচারও করা হয়ে থাকে।
সাফারি পর্যটক এবং শিকারিদের জন্য এদের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এরা সাধারণত সাভানা অঞ্চলে বসবাস করে। এই প্রাণীগুলো সেখানকার ঘাস, লতাপাতা খেয়ে বাঁচে বলে সেখানে দাবানলের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও এদের মাধ্যমে বীজের বিস্তার ঘটে একজায়গা থেকে আরেক জায়গায়। শিকারি পশু যেমন বাঘ, সিংহের খাবারের জোগানও দেয় এসব প্রাণী।
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে জিরাফ, জেব্রা এসব প্রাণীদের মাংস বিভিন্ন দেশে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, গ্রেট ব্রিটেনসহ আরও অনেক উন্নত দেশ এসব প্রাণীর মাংস আমদানি করছে যা এদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গরিলা হত্যা করা হয় এদের হাত, মাথা, পা ইত্যাদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য। জিরাফ মারা হয় মাংস আর চামড়ার জন্য। চামড়া এবং শিঙের জন্য প্রচুর হরিণ শিকার করা হয়। টাপির হত্যা করা হয় এদের পা আর চামড়ার জন্য।
তবে সব প্রাণী রক্ষার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নেয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন এসব প্রাণী রক্ষার ব্যাপারে তারা বেশ আশাবাদী। আর জিরাফ, জেব্রা, হরিণ ইত্যাদি প্রাণী দেখতে সুন্দর বলে সাধারণ মানুষও চাইবে না এরা বিলুপ্ত হয়ে যাক।