জ্যোতিষীদের নাকি অনেক ক্ষমতা ! সামান্য হাতের রেখার মধ্যেই তাঁরা লাখো মাইল দূরের গ্রহ-নক্ষত্রের ছায়া দেখতে পান।এসব গ্রহের ফেরেই মানুষের আয়ু, অর্থ, যশ সহ সবকিছু ওঠানামা করে বলে দাবি জ্যোতিষীদের। তবে সেই দাবি মিথ্যে হলেও গ্রহের হেরফেরে বয়স বাড়া-কমার বিষয়টি একেবারে মিথ্যে নয়।কারণ, বৈজ্ঞানিক হিসাব বলছে, কারও জন্ম পৃথিবীতে না হয়ে অন্যগ্রহে হলে বয়সেরও হেরফের হবে।ভাবছ, কেন? আসলে ৩৬৫ দিনে এক বছর ধরে পৃথিবীতে বয়স হিসাব করা হয়।কারণ, সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবী সময় নেয় ৩৬৫ দিন।
কিন্তু সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলোর এ ঘুরে আসার সময় ভিন্ন ভিন্ন।সূর্যের কাছের গ্রহগুলো অল্প সময়ে সূর্যের চারপাশে ঘুরে আসে এবং দ্রুত বছর পূর্ণ করে।বিপরীতে দূরের গ্রহগুলোর বছর পূরণে বেশি সময় লাগে।সে কারণে পৃথিবীতে তোমার বয়স ১০ বছর হলেও গ্রহের ফেরে তা কমতে বা বাড়তে পারে।
যেমন তোমার জন্ম বুধ গ্রহে হলে তুমি হতে ৪১ বছরের বুড়ো। কারণ,পৃথিবীর হিসাবে ৮৭ দশমিক ৯৭ দিনে এক বছর পূর্ণ করে বুধ।আর প্রায় ২৯ বছরে (পৃথিবীর হিসাবে) সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসে শনি গ্রহ। তাই এ গ্রহে জন্মালে তুমি হতে মাত্র চারমাসের দুধ খেকো শিশু।এখন পৃথিবীতে তোমার বয়স ১০ বছর ধরে নিয়ে দেখো গ্রহের হেরফেরে তোমার বয়স কেমন হেরফের হয়।