সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশে প্রতিবছর উৎযাপন হয় ঘুড়ি উৎসব। নানা রঙের নানা আকৃতির ঘুড়ি নিয়ে আনেক মানুষের সমাগম ঘটে ঐ উৎসবে। এছাড়া গ্রামে-গঞ্জে, পাড়ায়-পাড়ায় দেখা যায় আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে নাটাই হাতে ঘুড়িকে বধ করার চেষ্টা।
নাটাই হাতে ঘুড়িকে বধ করে রাখার মধ্যেই ঘুড়ি খেলা সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনকি আমাদের দেশে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কাইট স্পোর্টস। এর মধ্যে রয়েছে স্নো কাইটিং, প্যারাসেইলিং, কাইট সার্ফিং, কাইট ল্যান্ডবোর্ডিং, কাইট বাগিং, পাওয়ার কাইটিং, কাইট সেইলিং ইত্যাদি।
বরফে ঢাকা দেশে স্নো কাইটিং করতে দেখা যায়। এক্ষত্রে ব্যবহৃত ঘুড়িগুলো এত বড় যে বরফেরে মধ্যে সার্ফিং কিংবা লাফ দেওয়ার পুরো শক্তি ঐ কাইট থেকে পাওয়া যায়। স্নো কাইটিং কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে; ওয়েট, কাইট সাইজ, স্নো কন্ডিশন, উইন্ড স্পিড। রাশিয়া, কানাডা, আইসল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, আস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইডেন, আমেরিকার কিছু অঞ্চলে স্নো কাইটিং বেশ জনপ্রিয়।
প্যারাস্যুটে করে শুন্যে ওঠাই হচ্ছে প্যারাসেইলিং। এক্ষত্রে বোট কিংবা গাড়িতে দড়ির সাহায্যে আটকিয়ে প্যারাসুটকে ওড়নো হয়। আর প্যারাসুটে থাকা ব্যক্তিও এর সাথে আকাশে উড়ে।
কাইট সার্ফিং হলো ঘুড়ি খেলার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহারণ। ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে তার দড়ি হাতে রাখা হয়। বাতাসের প্রচন্ড টানে মানুষ ছোট কাইট বোর্ডে ভর করে পানির উপর ছুটে চলতে পারে।কাইট সার্ফিং এ দেখা গিয়েছে ৮০ থেকে ১০০ কিমি পর্যন্ত গতি নিয়ে সার্ফিং করা যায়।
কাইট বাগি একটি বিশেষ ধরনের গাড়ি যা চলে ঘুড়িতে আটকানো বাতাসের টানে। ঘুড়ির মাধমে এ ধরনের গাড়ি চালানোকে কাইট বাগিং বলে।
আমরা অনেক সময় নদীতে পালতোলা নৌকা দেখি। এই পালতোলা নৌকা কাইট সেইলিং এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।