তুষারে ঢাকা প্রকৃতি দেখতে অদ্ভুত সুন্দর, সে দৃশ্য অনেক দূর থেকে হোক বা কাছ থেকেই। শ্বেত শুভ্র তুষার নিয়ে গল্প-কবিতা, উপন্যাসও কম লেখা হয়নি।
তবে এই তুষার কণা সৃষ্টির পেছনেও রয়েছে মজার কাহিনী। চলো জেনে নেয়া যাক তুষারকণার জীবনচক্রটি-
তুষার হচ্ছে পানির কঠিন অবস্থা। যখন একটি পানির ফোঁটা একটি ধুলি কণার সাথে সংযুক্ত হয় এবং খুবই নিম্ন তাপমাত্রায় থাকে তখনই তুষারকণা তৈরি হয়। তবে এজন্য তাপমাত্রা অবশ্যই মাইনাস ৪ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে।
একটি তুষারকণা যখন তৈরি হয় তখন এটি সমতল ও ষড়ভুজ থাকে যার ব্যাস থাকে ০.১ মিলিমিটার। হাইড্রোজেনের সাথে পানির আণবিক বন্ধনের কারণে এরকম আকৃতি তৈরি হয়।
এরকম একটি তুষারকণার সাথে যখন পানির আরও অণু যুক্ত হয় তখন এর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এসময় তুষারকণাগুলো সাধারণ তারার আকৃতি ধারণ করে। তবে এজন্য তাপমাত্রা, বাতাসের বেগ এবং আর্দ্রতা অনুকূল হতে হবে।
মেঘ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত আসতে একটি তুষারকণার প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে। তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রির বেশি থাকলে আর আর্দ্রতা বেশি হলে তুষারকণার আকার বড় হয়।
তবে মেরুঅঞ্চলের মত কম তাপমাত্রা এবং শুষ্ক আবহাওয়া হলে বরফ এবং ক্রিস্টাল প্লেট প্রয়োজন হয় তুষারকণা সৃষ্টি হওয়ার জন্য।
বড় আকারের তুষারকণা দিয়ে বিভিন্ন ভাস্কর্য এবং স্নোম্যান তৈরি করা সহজ হয়। ছোট আকারের তুষারকণা সাধারণত বরফের পাউডার হয়।
তুষার দেখতে সাদা রঙের হলেও তুষারকণা আসলে বর্ণহীন। কেননা পানিরও কোন রং নেই। কিন্তু তুষারের কণাগুলো হচ্ছে আয়নার মত। এতে সাদা রং বাদে অন্য সব রং প্রতিফলিত করে যার কারণে এদের সাদা মনে হয়।