অনেক সময় দেখা যায় দরকারের সময় হাতের কাছে কাঁচি না থাকলে আমরা দড়ি কাটা নিয়ে খুব ঝামেলার মধ্যে পড়ে যাই।
কখনো দাঁত দিয়ে চেস্টা করি, কখনো হাতের শক্তি পরীক্ষা করি, কখনো অন্যের সাহায্য নেই…কিন্তু বেশিরভাগ সময় সব চেস্টা ব্যর্থ হয়।
কিন্তু আমরা অনেকেই খুব সহজে দড়ি কাটার পদ্ধতিটি জানিনা।
যেই দড়িটি কাটতে হবে ঠিক ঐ দড়ির সাহায্যেই আমরা কাটবো দড়িটা।
নিচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করেই আমরা খুব সহজে দড়ি কাটতে পারবোঃ
দড়ির যেখানে কাটতে হবে, সেখানে মোটা করে দাগ দিয়ে নেই, যেনো কাটতে সুবিধা হয়।
এবারে দুই পায়ের নিচে দড়িটিকে এমনভাবে রাখি যেনো দাগ দেয়া বিন্দুটি দুই পায়ের ঠিক মাঝামাঝি থাকে।
এরপর দড়ির বাকি অংশ নিয়ে দুই পায়ের মাঝের বিন্দুটির নিচে আড়াআড়ি ভাবে স্থাপন করি।
এবার হাত দিয়ে খুব দ্রুত দড়ির নিচের প্রান্তটিকে ১০-১৫ সেকেন্ড উপর নিচ করলেই দাগ দেয়া বিন্দু বরাবর দড়িটি দুই ভাগ হয়ে যাবে।
চিকন সূতা, কিংবা মোটা নাইলনের দড়ি, যে কোনো কিছুই খুব সহজে এভাবে কাটা সম্ভব।
কারনঃ
দড়ি আড়াআড়ি করে দ্রুত টান দেয়ার কারণে দুই দড়ির মাঝে সৃষ্ট ঘর্ষণ বল, দড়ির ঐ নির্দিষ্ট বিন্দুর তন্তুগুলোকে আস্তে আস্তে ঢিলা করে ফেলে, এবং একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । এছাড়া, প্রতিটা বস্তুর স্থিতিস্থাপক সীমা রয়েছে। এই স্থিতিস্থাপক সীমার পরে কোনো বল প্রয়োগ করা হলে বস্তুটি ছিঁড়ে যায়। বা কোনো বস্তুর উপর তার নিজস্ব সহন সীমার বাইরে বল প্রযুক্ত হলে বস্তুটি ছিঁড়ে যায়। এখানে দড়িরও একটি সহন সীমা রয়েছে। দড়ির উপর কোনো বল অনেকক্ষণ ধরে প্রয়োগ করা হলে যখন দড়ির সহন ক্ষমতা বা সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন দড়িটি ছিঁড়ে যায়।