প্রচলিত ধারণা বলছে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে বাস করা মানুষের দৈহিক উচ্চতা দক্ষিণ গোলার্ধে বাস করা মানুষের দৈহিক উচ্চতার চাইতে তুলনামূলকভাবে বেশি। সম্প্রতি প্রায় ২ কোটি মানুষের উপর এক জরীপ চালিয়ে এ ধারণার ব্যাপারে সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ লন্ডনের ৮০০ গবেষকের একটি দল এই জরীপ পরিচালনা করেছেন।
এই জরীপে দেখা গিয়েছে, নেদারল্যান্ডের ১৮ বছর বয়সী একজন পুরুষের গড়ে উচ্চতা ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে নেদারল্যান্ডের নারীদেরকে পিছনে ফেলে শীর্ষে আছে লাটভিয়ার নারীরা যাদের গড় উচ্চতা ৫ ফিট ৭ ইঞ্চি।
শারীরিক উচ্চতার দিক থেকে যেসব দেশ এগিয়ে আছে তার মধ্যে প্রথম ১০টি দেশই ইউরোপের। বেলজিয়াম, এস্তোনিয়া, ডেনমার্ক, চেক রিপাবলিক ও সার্বিয়া আছে এর মধ্যে। তবে একশ বছর আগে এই তালিকায় আমেরিকান পুরুষরা ছিল ৩য় ও নারীরা ছিল ৪র্থ। কিন্তু এখন তা পরিবর্তিত হয়ে আমেরিকার পুরুষরা রয়েছে ৩৭ নম্বরে এবং নারীরা ৪২-এ।
গড়ে সবচাইতে কম উচ্চতার পুরুষরা বাস করে পূর্ব তিমুরে আর নারীরা বাস করে গুয়েতেমালায়। দেখা গিয়েছে, গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোর মানুষের উচ্চতা তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।
গত ১০০ বছরে গড় উচ্চতা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ইরানের পুরুষদের (সাড়ে ৬ ইঞ্চি) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের (প্রায় ৮ ইঞ্চি)। তবে সাহারা মরুভূমির আশপাশের দেশগুলো যেমন সিয়েরা লিওন, উগান্ডা ও রুয়ান্ডার পুরুষ ও নারীদের গড় উচ্চতা কমেছে।
গবেষণা বলছে, লম্বা মানুষ হৃদরোগে কম আক্রান্ত হয় ও বেশি দিন বাঁচে। লম্বা নারীদের গর্ভকালীন জটিলতাও দেখা যায় তুলনামূলক কম। তবে লম্বা মানুষের ক্যান্সার হবার ঝুঁকি বেশি থাকে।