নতুন উদ্ভাবিত একটি নিউক্লিয়ার চিপ বিজ্ঞানীদের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে। এখনকার ডাটা স্টোরেজ ডিভাইসগুলোর চাইতে ৫০০ গুন বেশি তথ্য জমা রাখতে পারবে এই চিপ। তবে এই চিপ খুবই ধীর গতির এবং শুন্য ডিগ্রি তপমাত্রার নিচে কাজ করে।
যে এই চিপ থেকে তথ্য বের করবে তাকে বেশ ধৈর্যশীল হতে হবে। আর এই চিপে তথ্য জমা করতে আরও বেশি ধৈর্য ধরা লাগবে। কিন্তু তারপরও এই চিপ অস্বাভাবিক রকমের বেশি পরিমাণ তথ্য জমা রাখতে পারবে। এমনটাই জানা গিয়েছে ব্রিটিশ বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার ন্যানোটেকনোলজি’ থেকে।
এই প্রকাশনার প্রধান বিজ্ঞানী স্যান্ডার ওট বলেন, একটি ষ্ট্যাম্প আকারের এই চিপে এ পর্যন্ত মানবসভ্যতার ইতিহাসে যত বই প্রকাশিত হয়েছে তার সবই তাত্ত্বিকভাবে জমা করে রাখা যাবে।
তিনি বলেন, এই চিপে কপারের পাতের উপর ক্লোরিন পরমাণু সাজিয়ে তথ্য জমা রাখা হয়। একটি পরমাণুর পর একটি খালি জায়গা থাকে। এই পরমাণু ও শুন্য জায়গার সাজানোর ধরণের উপরেই তথ্য জমা করার প্রক্রিয়া নির্ভর করে।
এই চিপে তথ্য ধারণ করতে চাইলে এই ক্লোরিন পরমাণুগুলো ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে সাজাতে হবে। এজন্য কম্পিউটারের সাহায্যও নিতে হবে। এভাবে ৬৪-বিটের একটি ব্লকে তথ্য জমা করতে সময় নিবে ২ মিনিট। আর সেটা পড়তে সময় লাগবে ১ মিনিট। তবে এই তথ্য জমা করা ও পড়া সম্ভব হবে শুধুমাত্র মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।
এই প্রথম কোন পরমাণু ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে এই চিপ কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে এখনই ব্যবহার উপযোগী হচ্ছে না। এর জন্য আরও দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হবে।