মনে আছে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের T20 বিশ্বকাপের কথা? বিশ্বকাপের কথা মনে না থাকলেও “চার ছক্কা হই হই, বল গড়াইয়া গেল কই” গানটি এবং এমন ধুমধাম গানের সঙ্গে নাচের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। গানটির সাথে যারা নাচ করছে তারা হটাৎ করে রাস্তার মাঝখানে এসেছে আবার হটাৎ করে চলে গেছে- এই দৃশ্যটির কথাও মনে আছে নিশ্চয়! হটাৎ করে হইহই গানের সঙ্গে চমকিত নৃত্য প্রদর্শনের ঘটনাকে ফ্ল্যাশ মব বলা হয়৷
ফ্ল্যাশ মবের সময় একদল মানুষ হঠাৎ করে রাস্তায় জনসম্মুখের সামনে উপস্থিত হয়ে অনেক অল্প সময়ের জন্য উদ্দেশ্যহীনভাবে অপ্রচলিত বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে এবং হটাৎ করে ঐ জায়গা থেকে প্রস্থান নেয়। সাধারণ মানুষকে বিনোদন দেওয়া , কোন সামাজিক অন্যায়কে ব্যাঙ্গ করা এবং শৈল্পিক কলা প্রদর্শন করাই ফ্ল্যাশ মবের উদ্দেশ্য । টেলিযোগাযোগ মাধ্যম , সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইমেইল ব্যবহার করে ফ্ল্যাশ মব আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে এই ফ্ল্যাশ মবের ভিডিও ইউটিউব, ফেসবুকে বা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। যেমনটা করা হয়েছিল বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের T20 বিশ্বকাপের সময়। তখন বিশ্বকাপের সময় ফ্ল্যাশ মব প্রদর্শন করে বাংলাদেশের প্রায় সব সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ।
এই ফ্ল্যাশ মব শব্দটির প্রচলন শুরু হয় ২০০৩ সালে। ২০০৩ এ ম্যানহাটান শহরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। হারপার্স ম্যাগাজিনের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক বিল ওয়াসিক প্রথম এটি করার উদ্যোগ নেন।
রাস্তার মাঝখানে হটাৎ করে একদল মানুষ নাচানাচি করলে এই নাচ নিঃসন্দেহে মানুষকে বিনোদন দেয়। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং উন্নয়নের মত ঘটনা বা উদ্দেশ্যের জন্য প্রচার করা হয় না ফ্ল্যাশ মব। তাই, মাঝে মাঝে ফ্ল্যাশ মব শব্দটির পরিবর্তে স্মার্ট মব শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
ফ্ল্যাশ মব যদিও একটি চমৎকার উদ্যোগ যা মানুষকে সাময়িক আনন্দ দিয়ে থাকে কিন্তু কিছু কিছু দেশে এই ফ্ল্যাশ মবকে কাজে লাগিয়ে অনেক অপরাধও হয়ে থাকে। মানুষ যখন ফ্লাশ্ মব এর তালে মুগ্ধ থাকে তখন কিছু লোক এই সুযোগে বিভিন্ন দোকান থেকে মূল্যবান জিনিস চুরি করে।