বসবাসের অযোগ্য হতে যাচ্ছে এই শহরগুলো

প্যারিসে বিশ্বনেতারা এক হয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কিন্তু যখন তারা এই আলোচনায় ব্যস্ত তার মধ্যেই দেখা গিয়েছে ২০১৫ সাল হতে যাচ্ছে ইতিহাসের উষ্ণতম বছর।

গত ৯ মাসের মধ্যে ৮ মাসই তাপমাত্রার রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তার উপর সেপ্টেম্বর মাসের তাপমাত্রা ছিল গড় তাপমাত্রা থেকে সবচেয়ে বেশি যা কিনা গত ১০০ বছরের মধ্যে রেকর্ড। এর আগে ২০১৪ সাল ছিল উষ্ণতম বছর।

এসব ঘটনা দেখে প্রমাণিত হয় আমাদের পৃথিবী দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এর বিরুদ্ধে যদি দ্রুত কোন পদক্ষেপ নেয়া না হয় তাহলে একসময় বিশ্বের অনেক বড় বড় শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে, এমনকি সেটা হতে পারে আমাদের জীবদ্দশাতেই।

‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ জানিয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পার্সিয়ান গালফের নিকটবর্তী শহরগুলো যেমন দুবাই, দোহা, আবুধাবি, বন্দর আব্বাসের তাপমাত্রা এতোটাই বেড়ে যাবে যে সেখানে আর মানুষের বসবাস করা সম্ভব হবে না। এর ফলে কমপক্ষে ৫০ লাখ বাসিন্দা অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হবে।

গবেষণাটি আরো বলছে, ২১০০ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যের এসব শহরের তাপমাত্রা ৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে যা সেখানে মানুষের বসবাসকে অসম্ভব করে তুলবে।

এই গ্রীষ্মেই ইরানের বন্দর মাহশার শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ইউরোপীয় দেশগুলোর তাপমাত্রাও গড়ে ১০-১২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার তাপমাত্রাও বাড়বে একই হারে। যদিও শহরগুলো বসবাসের অযোগ্য হবেনা কিন্তু নিঃসন্দেহে গরম বেড়ে যাবে।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের হিসেব মতে, উত্তর আফ্রিকার তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে কমপক্ষে ২ কোটি মানুষ তাদের আবাস হারাবে। তিউনিসিয়া, কাতার, লিবিয়া, কুয়েত আর মিশরের মত দেশগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

২০২৫ সাল নাগাদ ৮-১০ কোটি মানুষ সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এমনকি বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের অনেক এলাকা ডুবে যাবে পানির এই উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন