এক সময় এটি ছিল বলিভিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ। কিন্তু এখন সেই হ্রদটিই আর নেই। নতুন স্যাটেলাইট ছবি বলছে পুপো হ্রদ সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে গেছে। আর এর ফলে হ্রদের আশপাশের জীববৈচিত্র্যের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
বলিভিয়ার বৃহত্তম টিটিকাকা হ্রদের পরেই পুপো হ্রদের অবস্থান যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার বর্গমিটার ছিল। এটি এখন শুকনো খটখটে হয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
স্যাটেলাইট থেকে এপ্রিল ২০১৪, জুলাই ২০১৫ এবং জানুয়ারি ২০১৬ তে এই হ্রদের নেয়া ৩টি ছবিতে দেখা যায় কিভাবে হ্রদের পানি ক্রমশ শুকিয়ে গিয়েছে।
তবে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মরালস বললেন, এটা আসলে প্রাকৃতিক ঘটনা। প্রতি শুষ্ক মৌসুমেই এই হ্রদ শুকিয়ে যায় এবং বর্ষা আসলে আবার তা ভরে উঠে।
কিন্তু আশঙ্কার বিষয়, এই অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। প্রাকৃতিক আর মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণ রয়েছে এর পেছনে। গত ৩ দশকে এখানকার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সাথে যেসব নদী থেকে এই হ্রদে পানি আসত সেগুলোর পানি কৃষিকাজ এবং অন্যান্য কারণে ব্যবহৃত হওয়ার ফলেও পানি শুকিয়ে গেছে পুপোর।
অবশ্য ১৯৮০ সালেও একবার পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছিল পুপো হ্রদের পানি। তবে পানি আবার ফিরে এসেছিল। কিন্তু এখন যা অবস্থা তাতে পানি এই হ্রদে আবার ফিরে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান হ্রদের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী।
প্রায় ৩৫০টি পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো পুপো হ্রদে মাছ ধরে এবং অন্যান্য কাজ করে। কিন্তু হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রা এখন হুমকির মুখে।