গত শনিবার নেপালে ঘটে গেল এক ভয়াবহ ভূমিকম্প। বিগত ৮০ বছরের মধ্যে নেপালে ঘটা ভয়ঙ্করতম এ ভূমিকম্পে ইতোমধ্যেই ৫ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক।
মূলত হিমালয় পর্বতমালার নিচের প্লেটের বিচ্যুতির কারণেই এই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মারাত্মক এ ভূমিকম্পের ফলে পরিবর্তন আসতে পারে এভারেস্টের উচ্চতায়। কিছুটা লম্বা বা খাটো হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
তবে এ ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইউএস জিওলজিকাল সার্ভের একদল ভূতাত্ত্বিক এ বিষয়ে কাজ করছেন। আগামী ১১ দিনের মধ্যে তারা জিপিএসের মাধ্যমে এভারেস্টের উচ্চতা মাপবেন। এরপর তারা আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।
ডানদিকে বা বাঁদিকে এভারেস্ট হেলে পড়েছে কিনা। যদি হেলে পড়ে তার পরিমাণ কতোটুকু অথবা উচ্চতা পরিবর্তিত হয়েছে কিনা এগুলো তখন জানা যাবে। স্যাটেলাইট আর সিস্মোগ্রাফের তথ্যও নেয়া হচ্ছে যেগুলো দেখে ধারণা করা হচ্ছে এভারেস্টের আশপাশের এলাকা আনুভূমিক এবং উলম্ব উভয়ভাবেই কয়েক সেন্টিমিটার সরে গিয়েছে।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির ভূতাত্ত্বিক জেমস জ্যাকসন জানান, উলম্ব এবং আনুভূমিক উভয় ক্ষেত্রেই ১০ সেন্টিমিটার বা ৪ ইঞ্চির কম বিচ্যুতি ঘটতে পারে। কাছাকাছি একটি জায়গা উত্তরদিকে ২ সে.মি এবং পূর্বদিকে ১ সে.মি সরে গিয়েছে, যদিও উচ্চতার কোন পরিবর্তন হয়নি বলে জানান তিনি।
তবে সত্যি সত্যিই এভারেস্টের কোন পরিবর্তন হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। তারা মাত্র একটি এজেন্সির তথ্যের উপর ভিত্তি করবে না, আরও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
সূত্রঃ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক