শীতনিদ্রা

শীতকালের নিদ্রা আসলেই অনেক মজা, তাইনা ? তবে আজ এক প্রাণীর কথা বলবো যারা কিনা পুরো শীতের সময় জুড়ে নিদ্রায় থাকে ! 

এই প্রাণীটির নাম কুনোব্যাঙ ।

কুনোব্যাঙ শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী। দিনের বেলায় অন্ধকারাচ্ছন্ন ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে লুকিয়ে থাকে। রাতের অন্ধকারে খাবারের খোঁজে বের হয় ও জীবন্ত কীটপতঙ্গ, শামুক ও এমনকি কেঁচো ধরে খায়।

আবহাওয়ার তাপমাত্রার সাথে এদের দেহের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। তাই, এরা শুষ্ক পরিবেশে থাকতে পারে না। এই কারণে, শীতকালে কুনোব্যাঙের উপস্থিতি দেখা যায় না। এই সময় কুনোব্যাঙ মাটির নিচে গর্তে বা গাছের কোটরে নিষ্ক্রিয় জীবন পার করে।কুনোব্যাঙের গায়ের রং ধূসর বলে এরা সহজে গাছের কোটরে আত্মগোপন করতে পারে। এরা খাদ্য গ্রহণের জন্য বাইরেও আসে না। দেহের সঞ্চিত স্নেহপদার্থ থেকে তারা শক্তি যোগায়।

শীতকালে ব্যাঙের এই নিষ্ক্রিয় জীবনযাপনকে শীতনিদ্রা ( Hibernation ) বলে।

শীতনিদ্রার সময় কুনোব্যাঙের অল্প পরিমাণের শক্তির প্রয়োজন হয়। কুনোব্যাঙের দেহে সঞ্চিত স্নেহপদার্থ এই অল্প পরিমাণ শক্তি সরবারহের জন্য যথেষ্ট ।

শীতনিদ্রার জন্য কুনোব্যাঙ আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। শীতকাল আসার আগেই কুনোব্যাঙ প্রচুর পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। এর কারণে, তাদের দেহে প্রচুর স্নেহপদার্থ জমে যায়। পরবর্তীতে, এই স্নেহপদার্থ শীতনিদ্রার সময় কুনোব্যাঙকে শক্তি সরবারহ করে।

পরিবেশের তাপমাত্রা যখন আবার বেড়ে যায় তখন কুনোব্যাঙ শীতনিদ্রা থেকে বেরিয়ে আসে।

শীতনিদ্রার সময় দেহে প্রচুর স্নেহপদার্থ জমে যায় বলে কুনোব্যাঙের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তবে শীতনিদ্রার পরে তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।   

 

      

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন