যারা কানে শুনতে পায় না বা যাদের শ্রবণশক্তি কম তাদের জন্য সিঙ্গাপুরের ‘এম্বডিয়েড সেন্সিং’ নামক প্রতিষ্ঠান উদ্ভাবন করেছে এক বিশেষ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি কাজ করবে বিভিন্ন রঙের লাইটের মাধ্যমে।
শব্দের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রঙের লাইট জ্বলে উঠবে। কেউ দরজায় নক করলে সবুজ লাইট আবার কেউ চিৎকার করলে লাল লাইট জ্বলে উঠবে।
ডিভাইসটির নাম দেয়া হয়েছে ‘স্টিক এয়ার’। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই পণ্য বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এখনই নয়। তবে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সাথে নিয়ে পণ্যটির উপর আরও গবেষণা করতে চায় তারা। যাতে পণ্যটি আরও উন্নত ও নিখুঁত হয়।
এম্বডিয়েড সেন্সিং-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা কিয়ান পিন বলেন, ‘কানে শুনতে পায় না এমন অনেকের উপর পরীক্ষা করে আমরা দেখেছি তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কেউ দরজায় নক করলো কিনা’।
স্টিকএয়ার সেন্সরে যে যন্ত্রটি বার্তা পাঠায় তার নাম দেয়া হয়েছে ‘লুমিস’। নিজের সুবিধার জন্য একজন বাসায় একাধিক লুমিস লাগাতে পারেন। রান্নাঘর, শোবার ঘর, বাথরুম যেখানেই শব্দ হোক না কেন, বাতি জ্বলে উঠবে।
অন্যদিকে যারা চোখে দেখতে পায় না তাদের জন্য এম্বডিয়েড সেন্সিং তৈরি করছে ‘ফিঙ্গার রিডার’ নামের আরেকটি ডিভাইস। কোন লেখার উপর এই ডিভাইসটি ধরলে তা জোরে জোরে লেখাটি পড়ে শোনায়।
ফিঙ্গার রিডার তর্জনীতে পরে আঙুলের মাথা কোন লেখার উপর ধরলে তা পড়া শুরু করবে। আঙুলের মাথা নির্দেশকের কাজ করবে যা একটা ক্যামেরার মাধ্যমে লেখা দেখে তা জোরে জোরে পড়ে শোনাবে। যদি কেউ লাইন থেকে সরে যায় তাহলে ডিভাইসটি ভাইব্রেট করবে এবং আবার লাইনে ফিরে আসার নির্দেশ দিবে।
তবে বই বা বড় কোন ধরণের লেখা পড়ার জন্য ফিঙ্গার রিডার নয়। ছোট ছোট জিনিস যেমন কার্ড, মেন্যু বা বইয়ের নাম এসব পড়ার জন্য বেশ কার্যকরী এই ডিভাইস।
শুধু তাই নয়, বিদেশী ভাষা অনুবাদ করার কাজও করবে ফিঙ্গার রিডার। যেসব বাচ্চারা এখনো পড়তে শিখেনি তারাও ফিঙ্গার রিডার দিয়ে নিজেদের পছন্দের বইটা পড়ে নিতে পারবেন।
তবে স্টিকএয়ারের মত এই ডিভাইসটিও নিয়েও আরও বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তারপর বাজারে ছাড়া হবে।