সাঁতারের ইতিবৃত্তঃ পর্ব ২

জীবন বাঁচানোর কৌশল কিংবা প্রতিযোগিতামূলক খেলা, দুই ক্ষেত্রেই সাঁতারের ভুমিকা অপরিসীম। সাঁতার শিখে নেয়া খুব কঠিন কিছু নয়। পানির ভয় কাটাতে পারলেই সাঁতার খেলাটা উপভোগ করা যায়। কমবেশি সাঁতার আমরা অনেকেই পারি। FINA হচ্ছে সাঁতারের আন্তর্জাতিক সংস্থা। ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার হেডকোয়ার্টার সুইজারল্যান্ডে। বিশ্বের ২০৮ টি দেশ এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত।

সাঁতারের আন্তর্জাতিক যেই ইভেন্টগুলো হয় সেখানে সাঁতারের কিছু রকমফের দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে আমরা যেরকম সাঁতার দেখি, সেটার পাশাপাশি নতুন ধরণের কিছু স্টাইল দেখা যায়। পর্ব ১ এ আমরা জেনেছি ফ্রি স্টাইল সাঁতার সম্পর্কে। আজ আমরা জানবো ব্রেস্ট স্ট্রোক সাঁতার সম্পর্কে।

Breaststroke Swimming: 

মাথা এবং কাঁধ না ঘুরিয়ে পানিতে ভর দেয়ার জন্যের বুকের ব্যবহার করা হয় এই পদ্ধতিতে। সাঁতারের সবগুলো পদ্ধতির মধ্যে এই পদ্ধতিটি একটু ধীরগতির হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় মাথা পানির উপর থাকে বলে এই স্টাইলে শক্তির খরচ কম হয় এবং অধিক সময় পানিতে থাকা যায়। এই স্টাইলের সাঁতারে বুকের উপর ভর দিয়ে দুই হাত প্রসারিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। সাঁতারুরা যখন দুই হাত প্রসারিত করে তখন মাথা পানির নিচে ডুব দিয়ে থাকে। ফ্রি স্টাইল সাঁতারের মত দ্রুত পা নাড়াতে হয় না এখানে।

  

৫০ মিটার ও ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক সাঁতারে বিশ্বরেকর্ড যুক্তরাজ্য এর Adam Peaty  এর দখলে। ৫০ মিটারে ২৬.৪২ সেকেন্ড ও ১০০ মিটারে সময় নিয়েছেন ৫৭.৯২ সেকেন্ড।  

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন