সাকরাইন উৎসব ১৪২১

প্রতিবছর বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিন পুরনো ঢাকায় উদযাপিত হয় সাকরাইন উৎসব। এটিকে ঘুড়ি উৎসব বা পৌষ সংক্রান্তিও বলা হয়। আগে এই উৎসবটি শুধুমাত্র সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে পুরনো ঢাকায় সাড়ম্বরে পালন করা হয় দিনটি। উৎসবে অংশ নেয় সব ধর্মের সকল বয়েসী মানুষ।

এ বছরও জানুয়ারির ১৩ ও ১৪ তারিখ হতে যাচ্ছে 'সাকরাইন উৎসব'। এ দিন পুরনো ঢাকার দয়াগঞ্জ, মুরগীটোলা, কাগজিটোলা, গেন্ডারিয়া, বাংলাবাজার, ধূপখোলা মাঠ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শাঁখারী বাজার, সদরঘাট, কোটকাচারী এলাকার অধিবাসীরা সারাদিনব্যাপি রঙ বেরঙের ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগীতায় মেতে উঠবেন।

সন্ধ্যায় আগুন নিয়ে খেলা আর আতশবাজি তো থাকবেই। আতশবাজির লাল নীল আলোয় আলোকিত পুরনো ঢাকাকে দেখতে চাইলে আপনিও হাজির হতে পারেন সেখানকার কোনও বাড়ির ছাদে বা রেস্তোরায়।

ঘুড়ি উড়ানো আর ঘুড়ি কাটাকাটি খেলা সাকরাইনের প্রধান আকর্ষণ। চক্ষুদার, ভোয়াদার, পানদার, কথাদার, মালাদার, পঙ্খী, পঙ্খীরাজ, চলনদার, পেটিদার, পাংদার, প্রজাপতি, দাপস, চিল, মানুষ, কচ্ছপ ঘুড়িসহ সাকরাইন উৎসবে আকাশে উড়ে বহু রং আর ঢঙের হাজার হাজার ঘুড়ি।

তাই উৎসবের বেশ আগ থেকেই পুরনো ঢাকায় শুরু হয়ে গেছে সুতায় মাঞ্জা দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করার প্রস্তুতি।

সাকরাইন উৎসব বর্তমানে পেয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ছাদে ছাদে ভাড়া করে আনা হয সাউন্ড সিস্টেম। বাজানো হয় গান। অনেক বাসার ছাদে আয়োজন করা হয় প্রোজেক্টরে মুভি দেখা আর ডিজে পার্টিরও। সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় আতশবাজি আর ফানুস উড়ানো।

অনুলিখন : মেহেদী বাবু

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন