মঙ্গলবার সকালে চীন একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে যেটি সম্পূর্ণ হ্যাকপ্রুফ বলে তারা দাবী করছে। এই উপগ্রহটি কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান আর প্রকৌশলের সমন্বয়ে এটি এমন এক প্রযুক্তি যা ক্ষুদ্র ও সাবএটমিক কণার দ্বারা নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করে।
চীনের প্রাচীন দার্শনিক ও বিজ্ঞানী ‘মিশিয়াস’ এর নামানুসারে এই স্যাটেলাইটের নাম রাখা হয়েছে। এটির ওজন ৬৩১ কিলোগ্রাম। আগামী ২ বছর পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার উপরে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে এটি।
চীনই প্রথম যারা এ ধরণের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। সাইবার নিরাপত্তায় চীনকে এই স্যাটেলাইট বাড়তি নিরাপত্তা দিবে বলেই সবাই মনে করছে। আর এটি যদি এর নকশা অনুযায়ী কাজ করতে পারে তাহলে সারা বিশ্বের থেকে চীন এগিয়ে থাকবে।
কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নিরাপদ। কেননা এটি ফোটন কণার মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করে থাকে যা কোনোভাবেই বিশ্লেষণ বা অনুলেপন করা যায়না। সেই সাথে এটি একটি অনন্য গোপন সংকেত তৈরি করে যা শুধু গ্রাহক আর প্রেরকই জানতে পারে।
এই কোয়ান্টাম প্রযুক্তি যেন কোন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকে উঠে এসেছে। এটিকে বাস্তবে পরিণত করতে প্রচুর অর্থ ঢালা হচ্ছে। কেননা বিভিন্ন সামরিক তথ্য, ভোক্তার তথ্যসহ রাষ্ট্রের অনেক গোপন তথ্য আদান প্রদানের সময় উচ্চ নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বর্তমানে এই প্রযুক্তি শুধু নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হলেও ভবিষ্যতে হ্যাকিং এর কাজেও এই ব্যবহার করা হতে পারে।