নতুন বছর উদযাপনের ইতিহাস যেমন হাজার বছরের পুরনো, তেমনি এর সাথে জড়িয়ে আছে নানা চমকপ্রদ ও অদ্ভুত সব ব্যাপার । নববর্ষ সম্পর্কে তেমনই কয়েকটি মজার তথ্য হলো :
১. নববর্ষের ছুটিই হলো পৃথিবীর আদিমতম হলি ডে বা ছুটির দিন । প্রায় চার হাজার বছর আগে প্রাচীন ব্যাবিলনে সর্বপ্রথম নববর্ষে ছুটির ইতিহাস জানা যায় ।
২. প্রাচীনকালে নতুন বছরের হিসেব শুরু হতো গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বা কৃষিনির্ভর কাজের সাথে মিল রেখে এবং ফসল রোপন করা বা কাটার সময় মাথায় রেখে। ১ জানুয়ারীতে নববর্ষ পালনের রীতির সাথে কৃষি বা জ্যোতিষ শাস্ত্রের কোনরকম সম্পর্ক নেই।
৩. খ্রিস্টের জন্মেরও ১৫৩ বছর আগে রোমের মন্ত্রীসভা সর্বপ্রথম ১ জানুয়ারীকে বছরের প্রথম দিন হিসেবে ঘোষণা করে।
৪. বছরের প্রথম মাস জানুয়ারীর নামকরণ করা হয় রোমান দেবতা জেনাস-এর নাম অনুসারে। রোমান পুরাণে বর্ণিত ‘জেনাস’ দু’মুখো দেবতা, যার এক মুখ সামনের দিকে এবং অন্য মুখ পেছনের দিকে ফেরানো– যার অর্থ হলো নতুনের সূচনা ।
৫. নতুন বছরের প্রথম দিনে রোমানরা একে অন্যকে উপহার হিসেবে দিতো তাদের ধর্মমতে পবিত্র কোন গাছের ডাল। আধুনিক বিবর্তিত রুপই হলো বর্তমানকালের উপহার আদান-প্রদানের রীতি ।
৬. গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ জানুয়ারী আবারও বছরের প্রথম দিনের মর্যাদা পায় ১৫৮২ সালে, যা এখনো চালু আছে ।
৭. ব্রিটেনে বিগ বেন ঘড়িতে ১ জানুয়ারী রাত বারোটা বাজার সাথে সাথে সবাই মিলিত সুরে গেয়ে ওঠে ‘Auld Lang Syne’– যা মূলত একটি স্কটিশ গান, এর অর্থ হলো “সুখের পুরনো দিনগুলো” অর্থাৎ পুরনো বছরকে স্মরণ করা।
৮. একসময় বিশ্বাস করা হতো যে বছরের প্রথম দিনটিতে যে অতিথির আগমন ঘটবে তার স্বভাব-চরিত্রের উপর নির্ভর করে পুরো বছরটি ভালো বা মন্দ কাটবে ।
৯. যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্থানের অধিবাসীরাই নতুন বছর শুরু করেন মটরশুটি বা শিমজাতীয় খাবার খেয়ে, তাদের বিশ্বাস, এতে সৌভাগ্য আসবে।
১০. একসময় বিশ্বাস করা হতো যে নতুন বছর প্রথম দিনটি কিভাবে কাটানো হবে তার উপর নির্ভর করে ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব। সেই বিশ্বাস থেকেই মানুষ বছরের প্রথম দিনটি কাটাতো আত্মীয় বা বন্ধুদের সান্নিধ্যে। নববর্ষে আত্মীয় এবং বন্ধুদের সাথে আনন্দ করার সেই রীতি এখনো প্রচলিত।