ছোটবেলায় সাইকেল চালানোর শখ সবারই থাকে। যারা সুযোগের অভাবে শিখতে পারেনা বড় হয়েও তাদের আফসোসটা রয়েই যায়। আর এখনতো সবুজ পৃথিবী আর সুস্বাস্থ্য গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে সাইকেল চালানোর পুরনো ট্রেণ্ড নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। খুব ছোটেবলাতেই সাইকেল চালানোর হাতেখড়ি হলে শেখার ঝক্কিঝামেলা অনেকটাই কমে যায়। তাই হাটঁতে পারার পরপরই সাইকেল চালানোটা রপ্ত করতে পারলে আর চিন্তা নেই।
প্রথমে তিন চাকার ট্রাইসাইকেল পরে দুই চাকার বাইসাইকেল। শুধু সাইকেলের সীটে উঠে বসলেই এটি চালানোর কৌশল রপ্ত করা যায় না। সব কিছুর মতো সাইকেল চালানোরও কিছু কৌশল আছে।
আপনি কীভাবে আপনার সন্তানকে সাইকেল চালানো শিখাবেন, এ বিষয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে। সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় অবশ্যই প্রত্যেক অভিভাবককে খেয়াল রাখতে হবে। তা হল-
১. বাচ্চাকে প্রথমে সাইকেলের চাকার ব্যবহার শিখাতে হবে, কিভাবে চাকার সাহায্যে সাইকেল চালানো যায় তা রপ্ত করাতে হবে।
২. সাধারণত বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী সাইকেলের চাকার মাপ ভিন্ন হয়ে থাকে।তাই সাইকেল কেনার সময় শিশুর বয়স খেয়াল রাখতে হবে।
৩. শিশু যখন সাইকেল প্যাডেলিং এবং হাতল ধরে ভারসাম্য আয়ত্ত করতে পারবে তখনই অনায়াসে সাইকেল চালাতে পারবে। সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্যালেন্স বা ভারসাম্য রক্ষা।
শিশুকে প্রথমে তিন চাকা সম্বলিত ছোট সাইকেল দিয়ে সাইকেলের ব্যালেন্স রক্ষা শিখাতে হবে। সাইকেল চালানো কিছুটা রপ্ত হলে পরে দুই চাকার সাইকেল চালাতে দিতে হবে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।
যখন আপনার সন্তান তার শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে স্বাচ্ছন্দ্যে চালাতে পারবে তখন তাকে মাঠে বা রাস্তায় সাইকেল চালানোর অভ্যাস করাতে হবে।
শিশুদের সাইকেল চালানো শেখার সময় অবশ্যই অভিভাবক বা দায়িত্বশীল কেউ উপস্থিত থাকা উচিত। প্রয়োজনে সাইকেলের পিছনে আলতো করে ধরে রাখা যেতে পারে যাতে এতে প্রশিক্ষণার্থীর ভারসাম্য রাখতে সুবিধা হয়।
অভিভাবকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে, সাইকেল চালানোর সময় যেন শিশু একা না থাকে। একটু অসাবধানতার কারণে শিশু সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর ফলে সে শারীরিক আঘাত পাওয়ার পাশাপাশি নিজের ওপর আস্থাও হারিয়ে ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে সাইক্লিস্টদের জন্য বিশষভাবে তৈরি হেলমেট, কনুই ও হাঁটুর গার্ডার পরা উচিত। অনাকাঙ্খিত যে কোন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।