যারা যত বেশি উচ্চতার ভবনে থাকে তারা তত বেশি ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে, বিশেষ করে আর্থিক ঝুঁকির ক্ষেত্রে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।
মানুষ যখন বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য ও আইনী বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যায় তখন সাধারণত অর্থ ব্যবস্থাপক, ডাক্তার এবং আইনজীবির উপর নির্ভর করে। কিন্তু উক্ত গবেষণায় অপ্রত্যাশিত একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে, যা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে।
একটি ধারাবাহিক পরীক্ষায় গবেষকরা দেখেন, যাদের অফিস তুলনামূলকভাবে উচ্চতর ভবনে থাকে তারা অধিক আর্থিক ঝুঁকি নেয়। জার্নাল অব কনজ্যুমার সাইকোলজিতে গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে।
মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক ও এই গবেষণার প্রধান সিনা এসটেকি, পিএইচডি বলেন, যখন আপনি উচ্চতায় যাবেন তখন আপনার চেতনাশক্তিতে অবচেতনভাবে প্রভাব পড়বে। এই শক্তি যত বাড়বে ততই ঝুঁকি নেয়ার আচরণ লক্ষ্য করা যাবে।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে গবেষকরা বিশ্বব্যাপী তিন হাজার হেজ ফান্ডের ডাটা গবেষণা করেন, যেখানে মোট সম্পদের পরিমান ৫০০ মিলিয়নের বেশি দেখা যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের অফিস প্রথম তলা থেকে ৯৬ তলা পর্যন্ত। প্রতি তলার সাথে সাথে ফান্ডের পরিমান বৃদ্ধির একটা উল্লেখযোগ্য যোগসূত্র পান গবেষকরা।
এসটেকির টিম গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বাজি ধরার বিষয়েও জিজ্ঞাসা করে। সেখানে দেখা যায় সর্বোচ্চ ৭২ তলার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ লটারিতে অংশ নেয় এবং হয় কম কিংবা উল্লেখযোগ্য জয়লাভ করে। আর নিচের দিকের অংশগ্রহণকারীরা দোটানায় ভোগে এবং অপেক্ষাকৃত কম জয়ী হয়।
গবেষণায় এ ধরণের বেশ কিছু বিষয় পরীক্ষা করে গবেষকরা। তাতে একই ধরণের ফলাফল দেখা যায়।