২০১৮ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। গত ১৮ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই অলিম্পিয়াডের আয়োজক কমিটি বাংলাদেশকে সদস্য হিসাবে তাদের ওয়েবসাইটে (https://www.iroc.org/copy-of-about) যুক্ত করেছে।
বাংলাদেশের পক্ষে এই অলিম্পিয়াড আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)। স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের রোবটিক সংক্রান্ত এই অলিম্পিয়াডের আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড কমিটি।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের এই নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর আহবান জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এই স্বীকৃতি আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মোকাবেলায় রোবটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগডেটা ইত্যাদি বিষয় সরকার থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে বুয়েটে রোবটিক্স সেন্টারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোবটিক্স ল্যাব তৈরিতে সহায়তা করা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, গণিত অলিম্পিয়াড, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ের অলিম্পিয়াডের মতো রোবট অলিম্পিয়াডেও আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার প্রকাশ দেখাতে পারবে।
বিডিওএসএনের রোবট সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের সমন্বয়কারী রিদওয়ান ফেরদৌস গত ডিসেম্বরে চিনের বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত ১৯তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে পর্যবেক্ষক হিসাবে যোগ দেন এবং বাংলাদেশের সদস্যপদের জন্য আবেদন করেন। এরপর আয়োজক কমিটির বিভিন্ন শর্ত পূরণ করার পর এ সদস্য পদ চূড়ান্ত হয়েছে।
বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান জানান, এ বছরের ডিসেম্বর মাসে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলাতে অনুষ্ঠেয় ২০তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এজন্য এবার থেকে জাতীয় রোবট অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হবে।