মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব লজ (Honoris Causa)’ ডিগ্রি (মরণোত্তর) প্রদান করা হবে।
গতকাল (৭ ডিসেম্বর ২০১৯) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন উপলক্ষে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ কথা জানান।
ব্রিফিংকালে উপাচার্য আগামী ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন সফল করতে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, ৫২তম সমাবর্তন প্রচার উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য জানান, সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সভাপতিত্ব করবেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রে রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা। তাঁকে সম্মানসূচক Doctor of Science (Honoris Causa) ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
৫২তম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য ২০ হাজার ৭শ’ ৯৬জন গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন করেছেন। অনুষ্ঠানে ৭৯জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ৯৮টি স্বর্ণপদক, ৫৭জনকে পিএইচডি, ৬জনকে ডিবিএ এবং ১৪জনকে এম ফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে। অধিভুক্ত সাত কলেজের রেজিস্ট্রেশনকৃত গ্র্যাজুয়েটগণ ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
উপাচার্য বলেন, সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। সমাবর্তনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গ্র্যাজুয়েটদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য তিনি সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকায় গ্র্যাজুয়েট এবং অতিথিদের চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে বলে আমরা দুঃখিত। সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় সহযোগিতা চাই।”