চলছে গ্রেটেস্ট শো অব আর্থ হিসেবে খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবল। এবারই প্রথম বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)। ২০১৬ সালের ক্লাব বিশ্বকাপে পদ্ধতিটি প্রথম প্রয়োগ হয়। পরের বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও কনফেডারেশনস কাপেও ব্যবহার করা হয়।
মূলত ফুটবলে স্বচ্ছতা আসতে এই ভিএআর ব্যবহার করা হচ্ছে। গোল হয়েছে কি হয়নি, পেনাল্টির সিদ্ধান্ত যাচাই, সরাসরি লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কিনা, ভুল ফুটবলারকে লাল কার্ড দেওয়া হয়েছে কিনা যাচাই করার জন্যই মূলত ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও তৈরি করেছে এই প্রযুক্তি।
প্রতিটি ম্যাচ চারজন রেফারি দেখভাল করেন। একজন রয়েছে অফসাইড দেখার জন্য। চারজন ব্রডকাস্টিং পরিচালক রেফারিদের খেলা দেখভাল করার জন্য সবচেয়ে ভালো ক্যামেরা পজিশনটি নির্বাচন করেন। এছাড়া রয়েছে রেফারি রিভিউ এরিয়া (আরআরএ), হাতের মাধ্যমে স্ক্রিণ সংকেত দিয়ে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ রেখে রেফারিরা সেখানে এসে তার দেয়া সিদ্ধান্ত ঠিক আছে কিনা বা কী ঘটেছে সেটি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে খেলা কিছুটা বিলম্বিত হলেও সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারেন রেফারি।
যাই হোক, টেলিভিশনে যখন সারাবিশ্ব থেকে কোটি কোটি মানুষ খেলা দেখছে তখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যও যাতে বাদ না যায় তার জন্য আয়োজকরা নিয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। আর তার জন্য কতটি ব্রডকাস্ট ক্যামেরা এতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি জানেন?
এবারের বিশ্বকাপে ৩৩টি ব্রডকাস্ট ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে আটটি সুপার স্লো-মোশন এবং চারটি আল্ট্রা স্লো-মোশন ক্যামেরা রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে আরও দুটি অফসাইড ক্যামেরা, যা শুধুমাত্র ভিএআর টিমের ব্যবহারের জন্য বসানো হয়েছে। সবমিলিয়ে ফিফার পক্ষ থেকে ৩৫টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে প্রতিটি মাঠে।