বিশ্বের নানা দেশে পর্যটন শিল্প অনেক বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে। সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতি বছরই ভ্রমণ পিপাসুদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিশ্বের সেরা ১০টি স্থানের তালিকা তুলে ধরা হল।
কুইনটাউন, নিউজিল্যান্ড
পাহাড়, লেক প্রাকৃতিক নৈসর্গে পরিপূর্ণ নিউজিল্যান্ডে সার্থক নামকরণ কুইনটাউন। একে প্রকৃতির রাণী বললেও একচুলও ভুল হবে না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সেখানে রোমাঞ্চকর কিছু রাইডও আছে।
পার্ক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শীত কিংবা গ্রীষ্মে একই রকম পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উতাহ প্রদেশের পার্ক সিটি। গ্রীষ্মকালের শুরুতে বরফ গলার সময় হাইকিং, স্নো-স্কেটিং করতেও সেখানে প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন।
গালওয়ে, আয়ারল্যান্ড
সঙ্গীতবোদ্ধাদের অন্যতম প্রিয় একটি জায়গা গালওয়ে। দেশটির স্থানীয় এবং পাশ্চাত্য সুরের অপূর্ব মেলবন্ধন পাওয়া যায় আয়ারল্যান্ডের ওই শহরে।
সাভানাহ, জর্জিয়া
মূলত বার্ষিক সেইন্ট প্যাট্রিক দিবস পালনের জন্য বিখ্যাত সাভানাহ। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব এটি। প্রায় ৩ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন ওই অনুষ্ঠানে। যেকোনও পর্যটকের মন কাড়তে সক্ষম এ শহর।
ক্রাকোউ, পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের পুরানো এই নগরটিতে এখনও মধ্যযুগের স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে সুদৃশ্য দালান-কোঠা রয়েছে। ক্রোকাউয়ের রাইনেক গ্লোউনি স্কয়ারের বিকেল বেলা আসলেই উপভোগ্য এক মুহূর্ত।
ব্রুগেস, বেলজিয়াম
মূলত চকলেট এবং বিয়ারের জন্য বিখ্যাত বেলজিয়ামের ব্রুগেস শহর। প্রতিদিন বিকেল বেলা কয়েক হাজার মানুষের আড্ডার মাঝখানে হারিয়ে যাবেন আপনি। সেখানে যাওয়ার পর ঘড়ির কাটায় বন্দি সময় কখন এবং কীভাবে পার হয়ে যাবে- তা বুঝতেই পারবেন না আপনি।
নাসভিলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
টেনেসে প্রদেশের নাসভিলে প্রবেশের সময় আপনার কানে ভাসবে কান্ট্রি রক আর মন মাতানো সব সুর। পুরো এলাকা জুড়ে শুধু গান আর সুর। সব সময় কোনো লাইভ থিয়েটারে আছেন ভেবে আপনি ভুলও করতে পারেন।
চার্লসটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
এই শহরটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর বড় কারণ শহরের অধিবাসীরা খুবই মিশুক এবং বন্ধুবৎসল। তাছাড়া সেখানে গিয়ে পর্যটকরাও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন। মনোরম পরিবেশে পুরো শহর হেঁটে বেড়াতে একটুও একঘেঁয়েমী লাগে না কারো।
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
সাধারণত অসিরা খুবই বন্ধুত্বপরায়ন হয়। তাই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের অবস্থান অনেকটা শীর্ষেই থাকে। এ শহরের রাস্তায় কখনও কোনো পর্যটক পথ হারালেও সমস্যায় পড়তে হয় না। অসিরাই পর্যটকদের পথ খুঁজে দিতে সাহায্য করেন। তাছাড়া গ্রীষ্মের সময় ছুটির রাতগুলোতে খোলা আকাশের নিচে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য অনেক লোকের জমায়েত হয় সিডনিতে। নভেম্বর মাসের কোনো এক দিনে এরকম বিশাল ডাইনিংয়ে অংশ নিতে পারেন আপনিও।
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরে ঢুকতে কোনো পর্যটকের গাইড বই কিংবা গাইডের প্রয়োজন পড়ে না। যেকোনো সময় পর্যটকেরা যেকোনো প্রয়োজনে এ শহরের অধিবাসীদের সাহায্য পাবেন। সদা হাস্যময় ডাবলিন শহরের অধিবাসীরা।
লেখাটি অনুমতি সাপেক্ষে টিকেটশালা ডটকম থেকে সংগৃহীত