বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই একটি অথবা দুইটি দাপ্তরিক ভাষা থাকে, আবার যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোতে কোনও দাপ্তরিক ভাষা নির্দিষ্ট নেই। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে অধিক দাপ্তরিক ভাষার দেশ কোনটি?
দক্ষিণ আফ্রিকা, দেশটিতে বর্তমানে ১১টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে। এর সাথে আরও একটি যুক্ত হতে যাচ্ছে, যদি দক্ষিণ আফ্রিকার ইশারা ভাষা দেশটির সংসদের অনুমোদন পায়।
দাপ্তরিক ভাষার বিশেষ আইনী অবস্থান থাকে এবং সরকারি কাজে এগুলো ব্যবহার করা হয়। বহুভাষী দেশের ক্ষেত্রে একাধিক দাপ্তরিক ভাষা দেখা যায়।
১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার ভারতে ৪৫৪টি ভাষা রয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম বহুভাষী দেশ। জাতীয়ভাবে দেশটির দাপ্তরিক ভাষা হিন্দি ও ইংরেজি। তবে দেশটিতে আঞ্চলিকভাবে মোট ১৬টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে, কারণ প্রত্যেক রাজ্য তাদের নিজস্ব দাপ্তরিক ভাষা ব্যবহার করতে পারে।
অপরদিকে, মেক্সিকোতে কোনও দাপ্তরিক ভাষা নেই। সরকার ও অধিকাংশ জনগন স্প্যানিশ ভাষা ব্যবহার করলেও এটিকে কোনও দাপ্তরিক স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।
একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রেও কোনও দাপ্তরিক ভাষা নেই। সরকারি ও বাণিজ্যিক কাজে ইংরেজি ব্যবহৃত হলেও স্প্যানিশ, চাইনিজ ও ফ্রেঞ্চ ভাষাও ব্যবহৃত হয়।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় ৫০০টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত পালাউ প্রজাতন্ত্রে ৫টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে। এগুলো হলো- পালাউয়ান, ইংরেজি, সনসোরোলিস, টোবি এবং আংগাউর।
চারটি দাপ্তরিক ভাষার দেশের মধ্যে রয়েছে- অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, স্পেন ও সিঙ্গাপুর।
বিশ্বব্যাপী দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ইংরেজি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে যুক্তরাজ্যেেও অস্ট্রেলিয়ায় ইংরেজিকে দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ ও অ্যারাবিক দাপ্তরিক ভাষার ক্ষেত্রে ইংরেজির পরেই অবস্থান করছে।