অাকৃতি কোন বিষয়ই না!

জিনিসটা অনেকটা নাসপাতির মতো গোল। অথবা জিনিসটা দেখতে তরমুজের মতো। ফলের আকৃতি দিয়ে এ ধরণের তুলনা দেবার দিন বোধহয় শেষ।

চারকোণা তরমুজ ও আপেল, বা হৃৎপিন্ডের আকৃতির শশা, অথবা শিশুদের মতো দেখতে নাসপাতি, এমনই সব অদ্ভুত ফল ফলাচ্ছেন এখন চীন এবং জাপানের কৃষকেরা।

এমনকি গৌতম বুদ্ধের মতো চেহারার নাসপাতিও প্রচুর আছে। আর অদ্ভুত দেখতে এসব ফল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।

পড়বেন নাই বা কেন, এমন অদ্ভুত জিনিস তো আগে কেউ কখনো চোখেও দেখে নি। তবে এসব ফলের স্বাদ কিন্তু সাধারণ আপেল, তরমুজ বা নাসপাতির মতোই।

আসলে সাধারণ ফলের সাথে এদের কোন পার্থক্যও নেই, আকৃতিটুকু ছাড়া। কোথা থেকে আসে তাহলে এরকম আকৃতির ফল?

খুব ছোট অবস্থায়ই সাধারণ আপেল, তরমুজ, শশা বা নাসপাতি- এ ফলগুলোকে প্লাস্টিকের তৈরী ছাঁচে ভরে ফেলা হয়।

ঐ ছাঁচের ভেতরেই ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে কচি ফলগুলো। ছাঁচের ভেতর বড় হতে হতে একসময় হুবহু ছাঁচের রুপই গ্রহণ করে নেয় ফলগুলো।

তখন ছাঁচগুলো খুলে নেয়া হয়, আর বেরিয়ে আসে বুদ্ধের মতো দেখতে নাশপাতি বা হৃৎপিন্ডের আকৃতির শশা।

এ পদ্ধতিতে আরো অনেক ফলকেই ইচ্ছেমতো চারকোণা, তিনকোণা বা গোল আকৃতি দেয়া যায়। তাই এখন আর কেবলমাত্র শৌখিনতার খাতিরেই না, বরং দূরবর্তী স্থানে পরিবহনের সময় কম জায়গায় বেশি ফল আঁটে এমন আকৃতির ফল তৈরী করে পরিবহন খরচ কমানোর কথাও ভাবা হচ্ছে আজকাল।

যদিও এখনো পর্যন্ত এসব নতুন আকৃতির ফল উৎপাদন বেশ ব্যায়বহুল হওয়ায় এরকম ফলের দাম সাধারণ ফলের চেয়েও তিনগুণ বেশি, তবে আশা করা হচ্ছে নতুন প্রযুক্তির কল্যাণে অচিরেই উৎপাদন খরচ অনেক কমে গিয়ে আরো স্বল্পমূল্যে এমন ফল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন