জীবকোষের বংশগতির ধারক ডিএনএ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে ২০১৫ সালে রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তিন বিজ্ঞানী হলেন যুক্তরাষ্ট্রের পল মডরিচ, আজিজ স্যানকার ও যুক্তরাজ্যের থমাস লিনঢাল। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে- জীবন্ত কোষের ভেতরে কি ঘটে সে বিষয়ে মৌলিক ধারণা ও জীবন্ত কোষ কী করে ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ মেরামত করে।
সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জীবকোষের মধ্যকার কার্যক্রম সম্পর্কে বোঝার গবেষণায় বড় অবদান রেখেছেন এই তিন বিজ্ঞানী। একই সাথে তাঁদের গবেষণা থেকে কিছু বংশানুক্রমিক রোগ এবং ক্যানসার সৃষ্টি ও বয়স বৃদ্ধি সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়।
যুক্তরাজ্যের গবেষক থমাস লিনঢাল কোষের ভেতরে ডিএনএ কীভাবে মেরামত হয় এর ব্যাখ্যা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক পল মডরিচ ব্যাখ্যা দেন, কোষ বিভাজনের সময় ডিএনএর সৃষ্ট ভুল কোষের মধ্যে কীভাবে ঠিক হয়। আর তুরস্কে জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার গবেষক আজিজ স্যানকার ব্যাখ্যা দেন, অতিবেগুনী রশ্মির ফলে ডিএনএর যে ক্ষতি হয় তা কীভাবে কোষ ঠিক করে। তিন গবেষক কোষের ডিএনএ মেরামতের পদ্ধতির পাশাপাশি এর জিনগত তথ্য নিরাপদ রাখার বিষয়টিরও ব্যাখ্যা দেন।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা অনুযায়ী গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।
সূত্রঃ বিবিসি