কুয়াশা সৃষ্টি হয় কেনো?
শীতকালে কুয়াশা হবার ব্যাপারটা খুব পরিচিত, অনেক সময় ১ হাত সামনের জিনিসটিও কুয়াশার জন্যে দেখা যায় না।
কুয়াশা অনুভব করতে খুব ভালো লাগলেও, তোমরা হয়তো অনেকেই জানো না যে এই কুয়াশা আসলে কি?
আজ আমরা জানবো কুয়াশা কি ?
কুয়াশা হল ভূমির সংস্পর্শে থাকা মেঘমালা। মেঘকেও আংশিকভাবে কুয়াশা বিবেচনা করা যায়, তবে মেঘের যে অংশটুকু মাটির ওপরে বাতাসে ভাসমান থাকে তা কুয়াশা হিসেবে বিবেচিত নয়, তাকে আমরা মেঘ ই বলবো আর মেঘের যে অংশ ভূমির সংস্পর্শে থাকে তাকেই কুয়াশা বলা হয়।
কুয়াশা আর ধোঁয়াশা র মধ্যে পার্থক্য হল এদের ঘনত্বে, যা কিনা এদের এদের ফলে সৃষ্ট “দর্শনযোগ্যতা হ্রাস” দ্বারা হিসাব করা হয়:কুয়াশার কারণে দর্শনযোগ্যতা ১ কিলোমিটারের কম হ্রাস হয়, যেখানে ধোঁয়াশা দর্শনযোগ্যতা ২ কিমির বেশি হ্রাস করে না।
যদিও পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান রাশিয়ার ভারখয়ানস্ক, পৃথিবীর সর্বাধিক কুয়াশাচ্ছন্ন স্থান হল নিউফাউন্ডল্যান্ডের গ্রান্ড ব্যাংকস , যেখনে উত্তর দিক থেকে আসা শীতল লাব্রাডর প্রবাহ ও দক্ষিণ দিক থেকে আসা অপেক্ষাকৃত উষ্ণ গালফ প্রবাহ মিলিত হয়।
সর্বাধিক কুয়াশাচ্ছন্ন ভূমি অঞ্চলেরমধ্যে আছে পয়েন্ট রেয়েস, ক্যালিফোর্নিয়াএবং আর্জেন্টিনা, নিউফাউন্ডল্যান্ড ও লাব্রাডর, যেখানে বছরের ২০০দিনই কুয়াশায় ঢাকা থাকে। আবার শীতকাল ছাড়াও উষ্ণ দক্ষিণ ইউরোপের নিম্নভূমি ও উপত্যকা অঞ্চলে ঘন কুয়াশা পড়ে, বিশেষত শরত্ ও গ্রীষ্মে।