বিজ্ঞান নিয়ে অনেকের মনেই ভয়ভীতি থাকে। জটিল সব সূত্র, গাণিতিক ব্যাখ্যা আর কাঠখোট্টা সব শব্দ শুনলেই কেমন যেন ভয় ভয় লাগে। জটিল সব ঘটনাকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে সহজভাবে তুলে ধরার কাজটিই করছে সায়েন্স রকস টিভি অনুষ্ঠানটি। প্রতি সপ্তাহে ২টি করে ৫২ সপ্তাহে মোট ১০৪টি মজার মজার সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট দেখানো হবে তোমাদের আর বলে দেয়া হবে সেটা কেন হলো, কিভাবে হলো। আজ এক ঝলক জেনে নেয়া যাক সায়েন্স রকস টিভি অনুষ্ঠানের দ্বাদশ পর্বে দেখানো ‘নিজে নিজেই ফুলবে বেলুন’ এক্সপেরিমেন্টটি।
বেলুন জিনিসটা তখনই দেখতে সুন্দর লাগে যখন তা ফুলানো হয়। আমরা সাধারণত ফু দিয়ে বেলুন ফুলাই। কিন্তু এই বেলুন যদি নিজে নিজে ফুলে তবে ব্যপারটা কেমন হবে? এই এক্সপেরিমেন্টে আমরা দেখব কিভাবে বেলুন নিজ থেকেই ফুলবে।
যা যা লাগবেঃ
১) বেলুন
২) প্লাস্টিকের স্বচ্ছ বোতল
৩) ফানেল
৪) ভিনেগার
৫) বেকিং সোডা
যেভাবে করবোঃ
প্রথমে বোতলে কিছু পরিমান ভিনেগার নিলাম। এবার ফানেলের মুখ বেলুনের মুখের সাথে লাগিয়ে নিলাম। ফানেলে বেকিং সোডা ঢাললে তা সহজে বেলুনের ভেতরে চলে আসবে। বেলুনটা মোটামোটি বেকিং সোডা দিয়ে পূর্ণ করে নিলাম। এবার বেলুনের মুখ থেকে ফানেল সরিয়ে ফেললাম। এখন বেলুনের মুখটা বোতলের মুখের সাথে এটে দিলাম। বেলুন ইলাস্টিক হওয়াতে এটা সহজে এয়ার টাইড হয়ে লেগে থাকবে। এবার বেলুনটা এমনভাবে ধরি যাতে এর ভেতরের বেকিং সোডা বোতলের ভেতরের ভিনেগারে গিয়ে পড়ে। আমাদের কাজ শেষ। দেখা যাবে ভিনেগার ফুটতে শুরু করেছে আর ক্রমান্বয়ে বেলুনটা ফুলে উঠছে। কিছুক্ষনের মধ্যে বেলুনটা যথেষ্ট পরিমান ফুলে উঠলে বোতলের মুখের উপরের অংশে বেলুনটাকে ভালভাবে ধরে বোতলের মুখ থেকে বেলুনটা খুলে নিলাম; শক্ত একটা গিট দিয়ে ছেড়ে দিলাম নিজে নিজে ফুলে যাওয়া এই বেলুনটি।
কেন হলোঃ
এই এক্সপেরিমেন্টে আমরা ব্যবহার করলাম ভিনেগার যার রাসায়নিক নাম এসিটিক এসিড এবং বেকিং সোডা যার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম বাই কার্বনেট যা একটি ক্ষার। এই এসিড ও ক্ষার যখন বিক্রিয়া করে তখন পানি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বলে তা বোতলের মুখ দিয়ে বেলুনে চলে আসে আর বেলুনটা ফুলে উঠে। আর বোতলের তলাই যা অবশিষ্ট থাকে তার অধিকাংশই হলো পানি এবং সোডিয়াম এসিটেট লবণ।