শীতকালীন সবজি 'টমেটো' বাংলাদেশের অনেক এলাকায় বিলাতি বেগুন নামেও পরিচিত। এখন আমাদের দেশে টমেটো ব্যাপকভাবে চাষ করা হলেও এর আদি নিবাস পশ্চিমে।
সর্বপ্রথম টমেটোর চাষ শুরু হয় মেসোআমেরিকান অঞ্চলে(বর্তমান হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও মেক্সিকো)। সেখান থেকে এটি আসে ইউরোপে।
আমেরিকা আবিষ্কারের পর এই টমেটো স্প্যানিশদের হাত ধরে ক্যারিবিয় অঞ্চলে যায় এবং একসময় ফিলিপাইনেও এসে পৌঁছায়। ফিলিপাইন থেকেই টমেটো দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং ধীরে ধীরে সমগ্র এশিয়াতেই ছড়িয়ে পড়ে।
খাদ্য হিসেবে টমেটোর রয়েছে নানবিধ গুণ। ইতোমধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের এই সবজি। টমেটোর বিভিন্ন রকম গুণাবলী নিয়ে আজকের এই লেখা।
লাইকোপেনের উপস্থিতি
মানুষের ত্বকেও লাইকোপেন থাকে। এই লাইকোপেনের কারণেই টমেটোর রং লাল হয়ে থাকে। লাইকোপেনে উপস্থিত আমাদের দেহের বিভিন্ন র্যাডিকেল এবং মলিক্যুল থেকে কোষ এবং ডিএনএ-এর ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।টমেটো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
তাই রান্না করা বা প্রক্রিয়াজাতকৃত টমেটো যেমনঃ সস, জুস বা পেস্ট এমনকি কাঁচা টমেটো খেলে তা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। স্বাস্থ্যকর তেল (অলিভ বা ক্যানোলা) দিয়ে টমেটো রান্না করে খেলে তা সহজে রক্তের সাথে মিশে যায়।
হার্টের যত্ন
টমেটোতে প্রচুর পরমানে ভিটামিন-সি থাকে যা হার্টের বিভিন্ন রোগকে দূরে রাখে। এই ভিটামিন-সি এর বেশিরভাগ টমেটোর ভিতরে বীজের চারপাশের জেলীর মতো লেগে থাকে। টমেটোতে উচ্চ পরিমাণে স্যালিসিলেটস থাকে যা রক্ত জমাট বাঁধাকে প্রতিরোধ করে।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে যদি কারও হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তবে বেশি বেশি টমেটো খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়। টমেটোর লাইকোপেন আর ভিটামিন-এ হাঁপানির সমস্যা দূর করে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান গবেষক।
মজবুত হাড়
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে থাকে যা আমাদেরকে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং হাড়কে মজবুত করে। বোস্টন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, ভিটামিন-কে এর অভাবে হাত ও পায়ে অস্টিও আর্থারাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুন বেড়ে যায়।
ভিটামিন-এ
ভিটামিন-এ আমাদের সুস্থ ত্বক, চুল, মিউকাস মেমব্রেন, হাড় ও দাঁত নিশ্চিত করে। প্রতিদিন আড়াইশ গ্রাম টমেটো খেলে আমাদের দেহের ভিটামিন-এ এর চাহিদা পূরণ হয়।