এই প্রথমবারের মতো সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন একজন সাংবাদিক। সাহিত্যে এ বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছেন বেলারুশের লেখক ও অনুসন্ধানী নারী সাংবাদিক সভেতলানা আলেক্সিভিচ। নোবেল কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, সভেতলানা আলেক্সিভিচের বহুমাত্রিক লেখা আমাদের সময়ের দুর্ভোগ ও সাহসের স্মৃতিস্তম্ভ।
সুইডিশ একাডেমির চেয়ারপার্সন সারা ডানিউস এর মতে, সভেতলানা তাঁর লেখনীর মাধ্যমে যা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন তা এক কথায় ইতিহাসের অংশ। তিনি আরও বলেন সভেতলানা আলেক্সিভিচের চল্লিশ বছর কেটেছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার পরের সময়ের অসংখ্য মানুষের জীবনকাহিনী শুনে। তবে তার গদ্য কেবল ইতিহাসকে তুলে ধরেনি, ধারণ করেছে মানুষের আবেগের ইতিহাস। আলেক্সিভিচ তাঁর লেখার মাধ্যমে পুরো একটি যুগ সম্পর্কে আমাদের বোধের জগৎকে নিয়ে গেছে আরও গভীরে।
প্রায় অর্ধশতক পর একজন সাহিত্যিককে এই পুরস্কার দেয়া হলো, যিনি মূলত ‘নন-ফিকশন’ লেখক। চতুর্দশ নারী হিসেবে সাহিত্যে নোবেল জিতলেন বেলারুশের এই লেখিকা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া কয়েক’শ নারীর সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে তাঁর প্রথম বই War’s Unwomanly Face প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে। বইটি প্রকাশের পরে ২ লাখেরও বেশী কপি বাজারে বিক্রি হয়। পরবর্তীতে সভেতলানা আলেক্সিভিচ ভয়াবহ চেরনোবিল দুর্ঘটনা নিয়ে লেখেন Voices from Chernobyl: The Oral History of a Nuclear Disaster। এছাড়া, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান অভিযান নিয়েও লিখেছেন সভেতলানা।
সূত্রঃ বিবিসি