‘চলুন একসাথে আরো ভালো ইন্টারনেট গড়ে তুলি’ এই স্লোগান নিয়ে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় মঙ্গলবার উদযাপিত হল ‘সেফার ইন্টারনেট ডে’। শিশু অর্থ্যাৎ অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আরো নিরাপদ ইন্টারনেট গড়ে তোলাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
এবারে এই দিবসের উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনেটে ভায়োলেন্ট বা হিংস্র যেসব উপাদান রয়েছে (ছবি, ভিডিও ইত্যাদি) সেসবের বিস্তৃতি প্রতিরোধ করা।
মূলত, নিরাপদ ইন্টারনেটকেই ভালো বা উন্নততর ইন্টারনেট বলে গণ্য করা হয়। এ কারণে গত ১১ বছর ধরে ১০০টিরও বেশি দেশ এবং বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দিনটিতে বড় বড় প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সব প্রতিযোগিতাকে দূরে সরিয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক আর টুইটার এবং আরো অনেকগুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এই দিবসটি পালন করেছে।
এই বছরটি নির্দিষ্ট করে নজর দেয়া হয়েছে ইন্টারনেটে সহিংস উপাদানের বিস্তৃতি রোধে । আর এজন্য সবাই মিলিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ফেসবুক সদর দপ্তরে। বিষয়টি নিয়ে সকলে সোচ্চার হয় যখন ফেসবুকে ইসলামিক স্টেট বা আইএস’এর মানুষের গলা কাটার বিভৎস্য ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে।
কোমলমিত শিশুদের মধ্যে এই বিষয়টি খুবই বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য এগুলো প্রতিরোধ করতে ফেসবুক এবং টুইটার সম্প্রতি তাদের নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে।
ডিসেম্বর মাস থেকে কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোন হিংস্র ভিডিও আপলোড করে তাহলে ফেসবুক তাকে সতর্ক সংবাদ দেবে, “are sure they want to see this,” এবং তাদের এটাও মনে করিয়ে দেবে যে “graphic videos can shock, offend and upset.” যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তাদেরকে এসব ভিডিও দেখতে দেবে না ফেসবুক। একইরকম পদক্ষেপ টুইটারও নিয়েছে।
ভায়োলেন্স, সাইবার ক্রাইম, পর্ণোগ্রাফি থেকে শিশুদেরসহ সবাইকে নিরাপদ রাখতে এ ধরণের পদক্ষেপ খুবই কার্যকর হবে বলে সবাই মনে করছেন।