ছােটরাই বানিয়েছে উড়োজাহাজ!

শৈশবে প্রায় সব শিশুরই স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে প্লেন চালানোর। আর ক্লাসের ফাঁকে কাগজের প্লেন বানানোতো নিত্যদিনের কাজ। কিন্তু যদি বলি স্কুলের বাচ্চারাও পারে এখন সত্যিকারের উড়োজাহাজ বানাতে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এই অসম্ভব কাজটিই করে দেখিয়েছে আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরের একঝাঁক বাচ্চা। সম্প্রতি অরল্যান্ডো শহরের সার্কেল ক্রিশ্চিয়ান স্কুল Eagle’s Nest নামক একটি প্রোগ্রাম চালায় এম্ব্রি-রিডল এরোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটির সহায়তায়।

এ প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের উড়োজাহাজ তৈরির ক্ষেত্রে সকল ধরণের সহায়তা করে থাকে। এ পর্যন্ত Eagle’s Nest সহায়তায় তৈরি প্লেনের সংখ্যা ৬টি। সর্বশেষ ইএন-৬ প্রোজেক্টটিতে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে ছিলেন স্কট ম্যালকম্ব। তিনি নিজে একজন পাইলট, সেই সাথে প্রায় ২০ বছর ধরে প্লেন তৈরির বিষয়ে কাজ করছেন।

প্লেন তৈরির ব্যাপারে বাচ্চাদের শিখিয়েছেনও বেশ ভালোভাবেই। শুধু তাই নয়, প্রথম যে ইএন-১ উড়োজাহাজটি তৈরি করা হয়েছিলো সেখানেও স্কট অংশগ্রহণ করেছিলেন, তবে শিক্ষানবিশ হিসেবে। সেই প্রজেক্টে শিক্ষক ছিলেন স্কটের বাবা এবং ভাই। উড়োজাহাজটি তৈরি করতে সময় লেগেছে মাত্র একবছর। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে শুরু হয় এটি নির্মাণের কাজ, শেষ হয়েছে এ বছরের মার্চ মাস নাগাদ। এখন প্লেনটি উড়বার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

তবে প্লেন তৈরির এ কাজটি কিন্তু একেবারে সহজ ছিল না। প্লেনটি বানানো শুরু হয় এর লেজ আর পাখার বিভিন্ন অংশ প্রস্তুতের মাধ্যমে। এরপর বিভিন্ন রকমের প্রায় ১১ হাজার পার্টস জোড়া লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত একটি আরভি-১২ উড়োজাহাজ তৈরি করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল ঝালাই দিয়ে প্লেনটির মূল কাঠামোর বিভিন্ন অংশ জোড়া দেয়া। তবে সে কাজটিও বাচ্চারা বেশ দক্ষতার সঙ্গেই করেছে। আর এটা যে তারা পারবে এ ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিলেন স্কট। এখন ইএন-৬ গ্রুপের ১৭ জন শিক্ষার্থী একজনের পর একজন চালাবার সুযোগ পাবে তাদের নিজেদের তৈরি করা এ প্লেনটি।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন