ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত শিল্পোন্নত দেশগুলো এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা কমানোর ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্যোগ মোকাবেলায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লরেন্ট ফ্যাবিয়াস, যিনি প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন, এই ঐক্যমতের কথা ঘোষণা করার সাথে সাথেই সবাই উল্লাসে ফেটে পড়েন। হাসি, উচ্ছ্বাস আর অভিনন্দন কিছুটা স্তিমিত হয়ে এলে ফ্যাবিয়াস বলেন, ‘আমি কোন দ্বিমত দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং প্যারিস চুক্তি গৃহীত হয়েছে’।
টানা ৩ দিন ধরে আলাপ-আলোচনা শেষে এই চূড়ান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয় সর্বসম্মতিতে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি জায়গায় সামান্য দ্বিমত ছিল। একটি নির্দিষ্ট বাক্যে ‘shall’ শব্দটির পরিবর্তে তারা ‘should’ শব্দটি ব্যবহারের কথা বলে। ফ্যাবিয়াস এ ব্যাপারে সম্মতি জানায়।
জার্মানির পরিবেশ মন্ত্রী বারবারা হ্যান্ড্রিক বলেন, ‘আমি বাড়িয়ে বলছি না কিন্তু আমরা সত্যিই সকলে মিলে একটা ইতিহাস রচনা করেছি’।
জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত পর্যবেক্ষক সালিমুল হক তার সাথে এ ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেন। দুই সপ্তাহ ধরে তর্ক-বিতর্কের পর তিনি গৃহীত চুক্তির একটি অংশের ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন, যাতে বলা হয়েছে এই শতাব্দীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির মধ্যে রাখা হবে এবং ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হবে।
সালিমুল হক বলেন, ‘গরীব এবং দুর্বল রাষ্ট্রগুলোও যে ধনী রাষ্ট্রগুলোর মন পরিবর্তন করতে পারে এটা তারই প্রমাণ’।